পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলিতে বিরু মোল্লা (৬৫) নামে ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার লক্ষীকুণ্ডা ইউনিয়নের কামালপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বিরু মোল্লা কামালপুর মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত আবুল মোল্লার ছেলে এবং লক্ষীকুণ্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন।
নিহতের স্বজনরা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য তার চাচাতো ভাই জহুরুল মোল্লাকে দায়ী করেছেন। অভিযুক্ত জহুরুল মোল্লা একই এলাকার মৃত ইসলাম মোল্লার ছেলে।
নিহতের ছেলে রাজিব মোল্লা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জহুরুল মোল্লা তাদের পারিবারিক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতের আঁধারে তিনি আবারও চরের জমি দখল করে মাটি কেটে বিক্রি করেন। বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার সকালে তিনি ও তার বাবা জহুরুল মোল্লার বাড়িতে গিয়ে মাটি কাটার কারণ জানতে চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জহুরুল মোল্লা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। গুলিবিদ্ধ হয়ে বিরু মোল্লা ঘটনাস্থলেই মারা যান।
রাজিব মোল্লা আরও বলেন, তিনি তার বাবার হত্যার সুষ্ঠু বিচার চান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জহুরুল মোল্লার সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুজ্জামান জানান, গুলিতে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক নিহত হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।






















