ঢাকা ১১:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন কমিশনের কাছে নিরাপত্তা চাইলেন ২ প্রার্থী

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৩:২৯:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫৩১ বার পড়া হয়েছে

 

নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী আসাদুজ্জামান ফুয়াদ নিরাপত্তা চেয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে এমন আবেদন জানান এই দুই প্রার্থী।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন, নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ ও মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের সঙ্গে দেখা করে লিখিত আবেদন জমা দেন কাজী রেহা কবির সিগমা।

আবেদনে রেহা কবির বলেন, ‘আমি কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার প্রত্যয় নিয়ে নির্বাচনি এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছি। গণসংযোগের কাজে অনেক কর্মী-সমর্থক তৎপর হয়েছেন। কিন্তু, আমার আইনানুগ গণসংযোগের কাজে ত্রাস সৃষ্টি করে আমার কাজ দুরূহ করার জন্য কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার পুলিশ কর্তৃপক্ষ ন্যক্কারজনকভাবে তৎপর হয়েছে।’

তিনি সিইসিকে জানান, ১৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১টায় তার এক নিরাপরাধ কর্মীকে গ্রেফতার করে ভুয়া মামলায় কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠায় পুলিশ। তার কর্মীদের আতঙ্কগ্রস্ত করা হয়েছে। যার ফলে নির্বাচনি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।

সিগমা বলেন, ‘আমার কর্মী, মো. কিয়ামত আলী (৫০) একজন নিরীহ জনপ্রিয় লোক। তার নামে কোনও মামলা বা অভিযোগ ছিল না। তাকে ২০২৪ সালের ৯ নভেম্বরে করা একটি মামলায় আসামি দেখানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ওই মামলায় আমার কর্মী কিয়ামত এজাহারভুক্ত আসামি নয়। তার বাড়ি অষ্টগ্রাম থানা থেকে মাত্র ১০ মিনিটের হাঁটা পথ দূরত্বে হলেও গত এক বছরে কোনও কারণে কখনও পুলিশ কিয়ামতের খোঁজ করেনি। কিয়ামতের সঙ্গে নিয়মিত দেখা হলেও কিছু জিজ্ঞাসা করেনি। এতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, শুধু আমার কর্মীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টির জন্যই অষ্টগ্রাম থানা পুলিশ কোনও বিশেষ স্বার্থ হাসিল করার জন্য এ কাজ করেছে।’

অবিলম্বে বিষয়টি তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করে আসন্ন নির্বাচন প্রশ্নাতীত ও সুষ্ঠু করার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সিইসিকে অনুরোধ জানান সিগমা।

তিনি বলেন, ‘পুলিশ ভীতি সৃষ্টি করছে। আমার কর্মী এবং আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই ইসি ও প্রশাসনের কাছে সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছি।’

এদিকে, নিরাপত্তার জন্য আসাদুজ্জামান ফুয়াদ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে দেখা করেছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচন কমিশনের কাছে নিরাপত্তা চাইলেন ২ প্রার্থী

আপডেট সময় ০৩:২৯:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

 

নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী আসাদুজ্জামান ফুয়াদ নিরাপত্তা চেয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে এমন আবেদন জানান এই দুই প্রার্থী।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন, নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ ও মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের সঙ্গে দেখা করে লিখিত আবেদন জমা দেন কাজী রেহা কবির সিগমা।

আবেদনে রেহা কবির বলেন, ‘আমি কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার প্রত্যয় নিয়ে নির্বাচনি এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছি। গণসংযোগের কাজে অনেক কর্মী-সমর্থক তৎপর হয়েছেন। কিন্তু, আমার আইনানুগ গণসংযোগের কাজে ত্রাস সৃষ্টি করে আমার কাজ দুরূহ করার জন্য কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার পুলিশ কর্তৃপক্ষ ন্যক্কারজনকভাবে তৎপর হয়েছে।’

তিনি সিইসিকে জানান, ১৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১টায় তার এক নিরাপরাধ কর্মীকে গ্রেফতার করে ভুয়া মামলায় কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠায় পুলিশ। তার কর্মীদের আতঙ্কগ্রস্ত করা হয়েছে। যার ফলে নির্বাচনি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।

সিগমা বলেন, ‘আমার কর্মী, মো. কিয়ামত আলী (৫০) একজন নিরীহ জনপ্রিয় লোক। তার নামে কোনও মামলা বা অভিযোগ ছিল না। তাকে ২০২৪ সালের ৯ নভেম্বরে করা একটি মামলায় আসামি দেখানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ওই মামলায় আমার কর্মী কিয়ামত এজাহারভুক্ত আসামি নয়। তার বাড়ি অষ্টগ্রাম থানা থেকে মাত্র ১০ মিনিটের হাঁটা পথ দূরত্বে হলেও গত এক বছরে কোনও কারণে কখনও পুলিশ কিয়ামতের খোঁজ করেনি। কিয়ামতের সঙ্গে নিয়মিত দেখা হলেও কিছু জিজ্ঞাসা করেনি। এতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, শুধু আমার কর্মীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টির জন্যই অষ্টগ্রাম থানা পুলিশ কোনও বিশেষ স্বার্থ হাসিল করার জন্য এ কাজ করেছে।’

অবিলম্বে বিষয়টি তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করে আসন্ন নির্বাচন প্রশ্নাতীত ও সুষ্ঠু করার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সিইসিকে অনুরোধ জানান সিগমা।

তিনি বলেন, ‘পুলিশ ভীতি সৃষ্টি করছে। আমার কর্মী এবং আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই ইসি ও প্রশাসনের কাছে সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছি।’

এদিকে, নিরাপত্তার জন্য আসাদুজ্জামান ফুয়াদ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে দেখা করেছেন।