ঢাকা ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাদির হত্যাকাণ্ড রাজনীতিতে ভয়াবহ মোড়ের ইঙ্গিত

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:১৭:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫৬২ বার পড়া হয়েছে

 

বাংলাদেশি মানবাধিকার আইনজীবী তাকবির হুদা বলেছেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড এবং এর পরপরই দেশে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা বাংলাদেশের রাজনীতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এক ভয়াবহ মোড়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাকবির হুদা বলেন, বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সহিংসতা খুবই বিরল। সেই প্রেক্ষাপটে হাদিকে গুলি করে হত্যা করা নজিরবিহীন এবং এটি দেশের রাজনীতিতে এক ‘ভীতিকর টার্নিং পয়েন্ট’।

তিনি আরও বলেন, হাদির মৃত্যুর পর যা ঘটেছে, তা আরও উদ্বেগজনক। এক রাতের মধ্যেই দেশের সবচেয়ে পুরোনো ও বৃহৎ কয়েকটি সংবাদপত্রের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর বড় ধরনের আঘাত।

তাকবির হুদার মতে, আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। এটি স্পষ্ট করে যে, শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর অন্তর্বর্তী সরকার এখনো নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর ওপর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।

তিনি বলেন, অনেক বক্তব্য ও অবস্থান নেওয়া হয়েছে, কিন্তু মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তেমন অগ্রগতি দেখা যায়নি। এক বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কোনো অজুহাত থাকতে পারে না।

তাকবির হুদা আরও উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো শুধু এক রাতের সহিংসতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; পুরো বছরজুড়েই বিভিন্ন স্থানে গণহিংসার ঘটনা ঘটেছে, যা দেশের নিরাপত্তা ও শাসনব্যবস্থা নিয়ে গভীর প্রশ্ন তুলছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

হাদিকে গুলি করে হত্যা: ৫ দফা দাবিতে এনসিপির মশাল মিছিল শনিবার

হাদির হত্যাকাণ্ড রাজনীতিতে ভয়াবহ মোড়ের ইঙ্গিত

আপডেট সময় ১০:১৭:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

 

বাংলাদেশি মানবাধিকার আইনজীবী তাকবির হুদা বলেছেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড এবং এর পরপরই দেশে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা বাংলাদেশের রাজনীতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এক ভয়াবহ মোড়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাকবির হুদা বলেন, বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সহিংসতা খুবই বিরল। সেই প্রেক্ষাপটে হাদিকে গুলি করে হত্যা করা নজিরবিহীন এবং এটি দেশের রাজনীতিতে এক ‘ভীতিকর টার্নিং পয়েন্ট’।

তিনি আরও বলেন, হাদির মৃত্যুর পর যা ঘটেছে, তা আরও উদ্বেগজনক। এক রাতের মধ্যেই দেশের সবচেয়ে পুরোনো ও বৃহৎ কয়েকটি সংবাদপত্রের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর বড় ধরনের আঘাত।

তাকবির হুদার মতে, আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। এটি স্পষ্ট করে যে, শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর অন্তর্বর্তী সরকার এখনো নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর ওপর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।

তিনি বলেন, অনেক বক্তব্য ও অবস্থান নেওয়া হয়েছে, কিন্তু মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তেমন অগ্রগতি দেখা যায়নি। এক বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কোনো অজুহাত থাকতে পারে না।

তাকবির হুদা আরও উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো শুধু এক রাতের সহিংসতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; পুরো বছরজুড়েই বিভিন্ন স্থানে গণহিংসার ঘটনা ঘটেছে, যা দেশের নিরাপত্তা ও শাসনব্যবস্থা নিয়ে গভীর প্রশ্ন তুলছে।