ঢাকা ০২:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যেই উপদেষ্টাদের দেশপ্রেম নেই, তাদের পদত্যাগ করা উচিত: চরমোনাই পীর

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:৫২:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫৩৩ বার পড়া হয়েছে

 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, “স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের দেশ নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে। তারই বাস্তবতা আমরা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদীর হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেখতে পেলাম।”

শুক্রবার সন্ধ্যায় রংপুর টাউন হলরুমে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ রংপুর জেলা ও মহানগর সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “একটা মেধাবী ছেলে, যে ন্যায়ের পক্ষে ও দেশের কল্যাণের পক্ষে ছিল; বিশেষ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল, তাকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হলো। সে শাহাদাত বরণ করল। এরপর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আসলে সুন্দর আছে—এটা তো আমরা বলতে পারি না।”

উপদেষ্টাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা আমার কাছে ভালো লেগেছে। কিন্তু কিছু উপদেষ্টার ব্যাপারে আমাদেরও আপত্তি আছে। তাদের আচরণ ও কথাবার্তা আমাদের কাছে ভালো লাগছে না। এজন্য আমরা বলব, যারা বিতর্কিত এবং যাদের মাঝে দেশপ্রেম নেই, সেই ধরনের উপদেষ্টাদের পদত্যাগ করা উচিত। তাদের পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত।”

তিনি আরও বলেন, “একটা স্বাধীন দেশের মধ্যে এই ধরনের একটা ঘটনাকে নির্বাচন কমিশন যখন ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে, তখন তাদের এই বক্তব্যকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। এটাই যদি বিচ্ছিন্ন হয়, তাহলে আসলে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা কোনটি? সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় হলো, খুনি পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার পর বর্ডার পার হয়ে ভারতে কীভাবে গেল? হাদীকে খুন করার এই পরিকল্পনা কারা করল? আর ভারত কেনই বা খুনিদের আশ্রয় দিচ্ছে? এটা কোনো সভ্য দেশের আচরণ হতে পারে না।”

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, “আমি ভারতকে উদাত্ত আহ্বান জানাব—আমাদের দেশের ভেতরে যারা অরাজকতা করে, যারা খুন ও গুম করে, তাদের আপনারা আশ্রয় দেবেন না। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো সভ্য দেশ এমনটা করতে পারে না। সেই হিসেবে বলব, খুনিদের আপনারা ফেরত দেবেন।”

 

বিচারকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “যারা দুর্নীতিবাজ ও খুনি রয়েছে এবং যারা দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে, তাদের ছাড় দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন। কেউ কেউ আমাদের দেশটাকে অস্থিতিশীল করতে চায় এবং সামনে যে জাতীয় নির্বাচন আসছে, সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। যারা নীল নকশা অনুযায়ী বিশৃঙ্খলা করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক, ঈমানদার ও সকল ধর্মের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সজাগ থাকতে হবে। তাহলে তারা সফল হতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ।”

তিনি আরও বলেন, “হাদীর খুনিরা যদি সীমান্ত পার হয়ে অন্য দেশে চলে যেতে পারে, তবে তো অন্যদের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা থাকে। যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলে নির্বাচন করে দেশ অস্থিতিশীল করেছে, দিনের ভোট রাতে বাক্সে ভরেছে এবং মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি, তাদের আমরা এবারের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।”

জনপ্রিয় সংবাদ

হাদিকে গুলি করে হত্যা: ৫ দফা দাবিতে এনসিপির মশাল মিছিল শনিবার

যেই উপদেষ্টাদের দেশপ্রেম নেই, তাদের পদত্যাগ করা উচিত: চরমোনাই পীর

আপডেট সময় ১০:৫২:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, “স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের দেশ নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে। তারই বাস্তবতা আমরা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদীর হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেখতে পেলাম।”

শুক্রবার সন্ধ্যায় রংপুর টাউন হলরুমে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ রংপুর জেলা ও মহানগর সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “একটা মেধাবী ছেলে, যে ন্যায়ের পক্ষে ও দেশের কল্যাণের পক্ষে ছিল; বিশেষ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল, তাকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হলো। সে শাহাদাত বরণ করল। এরপর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আসলে সুন্দর আছে—এটা তো আমরা বলতে পারি না।”

উপদেষ্টাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা আমার কাছে ভালো লেগেছে। কিন্তু কিছু উপদেষ্টার ব্যাপারে আমাদেরও আপত্তি আছে। তাদের আচরণ ও কথাবার্তা আমাদের কাছে ভালো লাগছে না। এজন্য আমরা বলব, যারা বিতর্কিত এবং যাদের মাঝে দেশপ্রেম নেই, সেই ধরনের উপদেষ্টাদের পদত্যাগ করা উচিত। তাদের পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত।”

তিনি আরও বলেন, “একটা স্বাধীন দেশের মধ্যে এই ধরনের একটা ঘটনাকে নির্বাচন কমিশন যখন ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে, তখন তাদের এই বক্তব্যকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। এটাই যদি বিচ্ছিন্ন হয়, তাহলে আসলে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা কোনটি? সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় হলো, খুনি পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার পর বর্ডার পার হয়ে ভারতে কীভাবে গেল? হাদীকে খুন করার এই পরিকল্পনা কারা করল? আর ভারত কেনই বা খুনিদের আশ্রয় দিচ্ছে? এটা কোনো সভ্য দেশের আচরণ হতে পারে না।”

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, “আমি ভারতকে উদাত্ত আহ্বান জানাব—আমাদের দেশের ভেতরে যারা অরাজকতা করে, যারা খুন ও গুম করে, তাদের আপনারা আশ্রয় দেবেন না। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো সভ্য দেশ এমনটা করতে পারে না। সেই হিসেবে বলব, খুনিদের আপনারা ফেরত দেবেন।”

 

বিচারকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “যারা দুর্নীতিবাজ ও খুনি রয়েছে এবং যারা দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে, তাদের ছাড় দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন। কেউ কেউ আমাদের দেশটাকে অস্থিতিশীল করতে চায় এবং সামনে যে জাতীয় নির্বাচন আসছে, সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। যারা নীল নকশা অনুযায়ী বিশৃঙ্খলা করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক, ঈমানদার ও সকল ধর্মের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সজাগ থাকতে হবে। তাহলে তারা সফল হতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ।”

তিনি আরও বলেন, “হাদীর খুনিরা যদি সীমান্ত পার হয়ে অন্য দেশে চলে যেতে পারে, তবে তো অন্যদের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা থাকে। যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলে নির্বাচন করে দেশ অস্থিতিশীল করেছে, দিনের ভোট রাতে বাক্সে ভরেছে এবং মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি, তাদের আমরা এবারের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।”