শহীদ ওসমান হাদির জানাজার কথা উল্লেখ করে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ঢাকায় তার (ওসমান হাদি) জানাজায় মানুষের ঢল নেমেছিল। ওসমান হাদির পর কার নাম আসবে, আমি জানি না। নির্বাচন বানচাল করতে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা যেমন চেষ্টা করছে, তেমনি দেশের ভেতরেও ষড়যন্ত্র থেমে নেই।
শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার সৈয়দটুল্লা আবর আলী বাজার খেলার মাঠে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে বেগম খালেদা জিয়া–এর সুস্থতা কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নিজের নির্বাচন নিয়ে রুমিন বলেন, আমি জানি না বাপের মতো বেটিরও কপাল আছে কি না, বাপ স্বতন্ত্র, বেটিও স্বতন্ত্র। সময়ই এর উত্তর দেবে।
রুমিন ফারহানা বলেন, তার বাবা ১৯৭৩ সালে জনগণের ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। স্বতন্ত্র হলেও তখন জনগণ ভুল করেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিবুর রহমান আমার বাবাকে জিততে দেননি।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার রাজনীতির আদর্শ ও পথপ্রদর্শক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি এ দেশের মানুষের পালস বুঝতেন। কোনোদিন দেশ ছেড়ে যাননি। আমি সরাইল-আশুগঞ্জের মানুষ। এখানকার মানুষ যা বলবে, আমি তাই করব।
মনোনয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মনোনয়ন আমি কিনব না। এটি আমার এলাকার ভোটারদের মনোনয়ন। তারা চাইলে কিনবে, আমি কিনব না।
নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, প্রচার-প্রচারণা থেকে ফল ঘোষণা পর্যন্ত সহিংসতা ও সন্ত্রাসের আশঙ্কা রয়েছে। থানা থেকে লুট হওয়া অবৈধ অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যের সমালোচনা করে রুমিন ফারহানা বলেন, প্রার্থীদের অস্ত্র দেওয়ার কথা বলা মানে মবকে এক ধরনের আইনগত বৈধতা দেওয়া। এটি দেশের জন্য অত্যন্ত দুঃসংবাদ।
নিজের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি এত ভাই থেকেও কেউ নিরাপত্তা দিতে না পারে, তবে সেটাকে আল্লাহর ফায়সালা হিসেবে মেনে নেব।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক মো. মালু মিয়া। এ সময় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




















