গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর অভিযোগ করেছেন, তার ওপর হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার না হওয়ায় ধারাবাহিক সহিংসতার পথ প্রশস্ত হয়েছে, যার ফল হিসেবে শরিফ ওসমান হাদিকে প্রাণ দিতে হয়েছে। তিনি বলেন, “সে সময় আমার ওপর হামলার পেছনে অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ মদদ দিয়েছিল। তখন বিচার হলে আজ হাদিকে খুন করার সাহস পেত না খুনিরা।”
শনিবার রাজধানীর বিজয়নগরে শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদ ও আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদের আয়োজিত শোক র্যালির আগে সমাবেশে এসব কথা বলেন নুর। সমাবেশে দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নুর বলেন, “হাদির মৃত্যুতে গোটা জাতি বাকরুদ্ধ। একসময় বলা হতো, দেশকে ফুটন্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত কড়াইয়ে নেওয়া যাবে না—আজ বাস্তবে সেটাই হয়েছে। এই সরকার রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নকে প্রশ্রয় দিয়েছে, ফ্যাসিবাদের পরিবেশ তৈরি করেছে এবং বিপ্লবীদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে।”
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি আরও বলেন, সরকারের ব্যর্থতার কারণেই দেশে মব সন্ত্রাস বেড়েছে। “প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের মতো গণমাধ্যমে হামলা হয়েছে, নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবিরের মতো ব্যক্তিও হেনস্তার শিকার হয়েছেন,” বলেন তিনি।
নুর অভিযোগ করেন, পরিকল্পিতভাবে মব সৃষ্টির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। “এটি দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্র। স্বাধীনতার আগে যেভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল, এখন সেভাবেই বিপ্লবীদের নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা চলছে,” যোগ করেন তিনি।
সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেন, “ওসমান হাদির খুনিরা কীভাবে পালিয়ে গেল? তাহলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ভূমিকা কী? বিচারহীনতার সংস্কৃতি আগেও ছিল, এখনো আছে—কারণ এই সরকার শতভাগ ব্যর্থ।”




















