নির্বাচন করা ও মনোনয়ন প্রসঙ্গে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘আমি মনোনয়ন কিনবো না। আমার এলাকা ভোটাররা যদি মনে করেন, ওনারা কিনবেন। আমি কিনবো না।’
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তার নিজ নির্বাচনি এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলা সদরের সৈয়দটুলা গ্রামে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন আয়োজিত দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির জন্য দোয়া ও রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
নির্বাচন নিয়ে ভীষণ রকম শঙ্কা আছে বলে উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘নির্বাচনের আগে যখন প্রচার প্রচারণা চলবে তখন, নির্বাচনের দিন এবং ফলাফল ঘোষণার মুহূর্ত পর্যন্ত মব সন্ত্রাসের ভয় আছে। একইসঙ্গে অবৈধ অস্ত্র যেগুলো থানা লুট করে বিভিন্ন মানুষের হাতে চলে গেছে, সেগুলোর কী অবস্থা। সেগুলোও এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে আমরা দেখলাম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, প্রার্থীরা অস্ত্রের আবেদন করলে তিনি অস্ত্র দেবেন। এটা দেখে মনে হচ্ছে, মবকে একরকম একটা বৈধতা এবং আইনগত ভিত্তি দেওয়ার চেষ্টা এই সরকারের মধ্যে লক্ষ্য করছি। এটা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত দুঃসংবাদ।’
বিএনপি নেত্রী বলেন, ‘আমার ভরসা আমার মানুষ। আমার মানুষ যদি থাকে আমার মিডিয়ার ভাইয়েরাও আমার অনেক বড় শক্তি। আমি জানি, নির্বাচনের দিন আপনারা সবাই মাঠে থাকবেন। যেখানে এতটুকু অনিয়ম হবে বলে মনে করছেন। বা হচ্ছে বলে আপনাদের ধারণা, আমাকে সঙ্গে সঙ্গে জানাবেন, অন্য প্রার্থীদেরকেও আপনারা জানাবেন। আপনাদের হাতে যে মোবাইল ফোনটি আছে কিংবা ক্যামেরাটি আছে তার চেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র আর নাই। সুতরাং এটাকে সঠিকভাবে যদি আপনারা ব্যবহার করেন, আমার মনে হয় না দুষ্কৃতিকারীরা নির্বাচনকে খুব বেশি প্রভাবিত করতে পারবে।’
রুমিন বলেন, ‘হেফাজতের মালিক হচ্ছে আল্লাহ, এতগুলো ভয় থাকতে তারা যদি আমার নিরাপত্তা না দিতে পারে আমাকে আমার ভাগ্য মেনে নিতে হবে। আমি মনে করি, সেটাই আল্লাহ আমার জন্য ফয়সালা রেখেছেন।
এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক মালু মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন- সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি হোসেন মিয়া। বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজসেবক জিল্লু মিয়াসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা।



















