ঢাকা ০৭:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৬ ভাই-বোনের ‘হাদি পরিবারে’ কে কী করেন?

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৪:৫২:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫৫৯ বার পড়া হয়েছে

আলেম ও শিক্ষাবিদদের পরিবারে জন্ম নেওয়া ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ছিলেন কুরআন-হাদিসের শিক্ষায় গড়ে ওঠা এক প্রতিবাদী কণ্ঠ। আধিপত্যবাদবিরোধী আন্দোলনের সম্মুখ সারির এই কর্মী দুর্বৃত্তদের গুলিতে প্রাণ হারিয়ে শহীদের মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়েছেন।
ছয় ভাইবোনের পরিবারে জন্ম নেওয়া ওসমান হাদির পরিবারটির প্রায় সবাই ধর্মীয় শিক্ষা ও শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত। ছোটবেলা থেকেই দ্বীনি শিক্ষায় বেড়ে ওঠা হাদি পরিণত বয়সে দেশ ও জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলনে সক্রিয় হন।
শিক্ষাজীবনে তিনি ঝালকাঠির এনএস কামিল মাদ্রাসা থেকে পঞ্চম শ্রেণি থেকে আলিম পর্যন্ত পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়ে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে অধ্যয়ন করেন। মেধাবী এই শিক্ষার্থী জীবিকার তাগিদে প্রাইভেট পড়াতেন এবং সবশেষ একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার খাসমহল এলাকার সন্তান ওসমান হাদির বাবা মাওলানা আবদুল হাদি ছিলেন একজন মাদ্রাসা শিক্ষক। তার বড় ভাই মাওলানা আবু বক্কর ছিদ্দিক বরিশালের গুঠিয়ার একটি জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব। মেজ ভাই মাওলানা ওমর ফারুক ঢাকায় ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তিন বোনের স্বামীরাও শিক্ষকতা ও দ্বীনি শিক্ষার সঙ্গে জড়িত—বড় বোনের স্বামী মাওলানা আমির হোসেন নলছিটির ফুলহরি আবদুল আজিজ দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও একটি মসজিদের ইমাম, মেজ বোনের স্বামী মাওলানা আমিরুল ইসলাম ঢাকায় ব্যবসা করেন এবং ছোট বোনের স্বামী মাওলানা মনির হোসেন নলছিটি ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক।
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে দুর্বৃত্তদের গুলিতে মাথায় গুরুতর আহত হন শরিফ ওসমান বিন হাদি। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার তিনি ইন্তেকাল করেন।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়। এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ২টা ৩৩ মিনিটে অনুষ্ঠিত জানাজায় সারা দেশ থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লাখো মানুষ অংশ নেন। জানাজায় ইমামতি করেন তার বড় ভাই মাওলানা আবু বকর

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রবাসী পেশাজীবীদের জন্য বড় সুখবর, হাজারো দক্ষ বিদেশি কর্মী নিয়োগ দেবে দুবাই

৬ ভাই-বোনের ‘হাদি পরিবারে’ কে কী করেন?

আপডেট সময় ০৪:৫২:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

আলেম ও শিক্ষাবিদদের পরিবারে জন্ম নেওয়া ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ছিলেন কুরআন-হাদিসের শিক্ষায় গড়ে ওঠা এক প্রতিবাদী কণ্ঠ। আধিপত্যবাদবিরোধী আন্দোলনের সম্মুখ সারির এই কর্মী দুর্বৃত্তদের গুলিতে প্রাণ হারিয়ে শহীদের মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়েছেন।
ছয় ভাইবোনের পরিবারে জন্ম নেওয়া ওসমান হাদির পরিবারটির প্রায় সবাই ধর্মীয় শিক্ষা ও শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত। ছোটবেলা থেকেই দ্বীনি শিক্ষায় বেড়ে ওঠা হাদি পরিণত বয়সে দেশ ও জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলনে সক্রিয় হন।
শিক্ষাজীবনে তিনি ঝালকাঠির এনএস কামিল মাদ্রাসা থেকে পঞ্চম শ্রেণি থেকে আলিম পর্যন্ত পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়ে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে অধ্যয়ন করেন। মেধাবী এই শিক্ষার্থী জীবিকার তাগিদে প্রাইভেট পড়াতেন এবং সবশেষ একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার খাসমহল এলাকার সন্তান ওসমান হাদির বাবা মাওলানা আবদুল হাদি ছিলেন একজন মাদ্রাসা শিক্ষক। তার বড় ভাই মাওলানা আবু বক্কর ছিদ্দিক বরিশালের গুঠিয়ার একটি জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব। মেজ ভাই মাওলানা ওমর ফারুক ঢাকায় ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তিন বোনের স্বামীরাও শিক্ষকতা ও দ্বীনি শিক্ষার সঙ্গে জড়িত—বড় বোনের স্বামী মাওলানা আমির হোসেন নলছিটির ফুলহরি আবদুল আজিজ দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও একটি মসজিদের ইমাম, মেজ বোনের স্বামী মাওলানা আমিরুল ইসলাম ঢাকায় ব্যবসা করেন এবং ছোট বোনের স্বামী মাওলানা মনির হোসেন নলছিটি ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক।
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে দুর্বৃত্তদের গুলিতে মাথায় গুরুতর আহত হন শরিফ ওসমান বিন হাদি। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার তিনি ইন্তেকাল করেন।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়। এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ২টা ৩৩ মিনিটে অনুষ্ঠিত জানাজায় সারা দেশ থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লাখো মানুষ অংশ নেন। জানাজায় ইমামতি করেন তার বড় ভাই মাওলানা আবু বকর