ইতিহাসের নতুন অধ্যায় লিখতে যাচ্ছে বিলিয়নিয়ার জেফ বেজোসের প্রতিষ্ঠিত মহাকাশ সংস্থা ব্লু অরিজিন। প্রথমবারের মতো একজন হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী নারীকে মহাকাশে পাঠাতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। সেই নারীর নাম মিকেলা বেনথাউস—পেশায় একজন মহাকাশযান ও মেকাটনিক্স প্রকৌশলী।
ব্লু অরিজিনের নিউ শেপার্ড রকেটে করে আসন্ন এনএস-৩৭ (NS-37) মিশনে আরও পাঁচ সদস্যের সঙ্গে সাবঅরবিটাল মহাকাশ ভ্রমণে যাচ্ছেন মিকেলা। এই ফ্লাইটটি ক্রুদের নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মহাকাশের সীমানা কারমান লাইন অতিক্রম করবে, যা পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬২ মাইল ওপরে অবস্থিত।
২০১৮ সালে পাহাড়ি এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মিকেলা বেনথাউস তার পায়ে মারাত্মক আঘাত পান। ওই দুর্ঘটনার পর তিনি স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ব বরণ করেন এবং তখন থেকেই হুইলচেয়ার ব্যবহার করছেন। দুর্ঘটনার পরও মহাকাশ গবেষণা ও প্রকৌশল পেশায় তার অদম্য অগ্রযাত্রা আজ তাকে ইতিহাসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে।
মিকেলার সঙ্গে এই মিশনে অংশ নিচ্ছেন ব্লু অরিজিনের সাবেক ইঞ্জিনিয়ার হ্যান্স কোয়েনিগসম্যান, উদ্যোক্তা নীল মিলচ, বিনিয়োগকারী জোয়ি হাইড, অ্যাডোনিস পোরোলিস এবং ‘স্পেস নার্ড’ হিসেবে পরিচিত জেসন স্ট্যানসেল।
প্রায় ১০ থেকে ১২ মিনিটের এই সাবঅরবিটাল ফ্লাইটে ক্রুরা কোনো মহাকাশ স্টেশনে অবস্থান করবেন না। তবে পৃথিবীতে ফিরে আসার আগে তারা কয়েক মিনিটের জন্য মাইক্রোগ্রাভিটি বা ওজনহীনতার অভিজ্ঞতা লাভ করবেন।
এই মিশনটি ব্লু অরিজিনের ১৬তম মানব মহাকাশযান হিসেবে চিহ্নিত হবে। এখন পর্যন্ত কোম্পানিটি কারমান লাইনের কাছাকাছি দিয়ে মোট ৮৬ জনকে মহাকাশ ভ্রমণ করিয়েছে, যার মধ্যে ৮০ জনই ছিলেন প্রথমবারের মহাকাশযাত্রী।
মিকেলা বেনথাউসের এই যাত্রা শুধু প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নয়, বরং শারীরিক প্রতিবন্ধকতা জয় করে মহাকাশ অভিযানে অংশ নেওয়ার এক অনন্য অনুপ্রেরণার গল্প হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।























