কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর বাজারের ‘বাগমারা দারুত তাহযীব মাদরাসা’র এক আবাসিক ছাত্রকে (১৩) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে হোসাইন আহমেদ (২২) নামে এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে মাদরাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃত শিক্ষক হোসাইন আহমেদ কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের মাঝিবাড়ির মৃত আবদুল কাদের মাঝির ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই মাদরাসার হিফজ বিভাগে শিক্ষকতা করে আসছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই শিশুটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়নের বড় ধর্মপুর গ্রামের এক প্রবাসীর ছেলে। সে গত এক বছর ধরে ওই মাদরাসার হিফজ বিভাগে আবাসিক ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছিল।
গত ১৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘুমিয়ে পড়লে শিক্ষক হোসাইন আহমেদ ওই ছাত্রকে ডেকে তুলে বিকৃত যৌনাচার শুরু করেন। এক পর্যায়ে তিনি শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। বিষয়টি জানাজানি হলে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে শিশুর মায়ের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে মাদরাসাটির মালিক রফিকুল ইসলামের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে রফিকুল ইসলাম ব্যক্তিগত উদ্যোগে দুটি ভবনে ‘বাগমারা দারুত তাহযীব বালক ও বালিকা মাদরাসা’ চালু করেন। এর আগেও এই প্রতিষ্ঠানে একাধিকবার শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নুরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, “ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আমরা অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করি। আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।”



















