ঢাকা ০৬:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাতক্ষীরার ২০টিরও বেশি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা উদযাপন

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৫৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫
  • ৫২৯ বার পড়া হয়েছে

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সাতক্ষীরার অন্তত ২০টি গ্রামে শুক্রবার (৬ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়েছে। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়, যাতে অংশ নেন স্থানীয় শত শত মুসল্লি, পুরুষ ও নারী উভয়েই।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাড়ুখালী আহলে সুন্নাত আল জামায়াত জামে মসজিদে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা মাহবুবুর রহমান। একই সময়ে বাওখোলা পূর্বপাড়া জামে মসজিদেও ঈদের নামাজ আদায় করা হয়, যেখানে ইমামতি করেন মাওলানা মো. মোহাব্বত আলী।

ঈদের জামাতে ইসলামকাটি, গোয়ালচত্বর, ভাদড়া, ঘোনা, মিরগিডাঙ্গাসহ আশপাশের অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষ অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন এবং ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পশু কোরবানি দেন।

স্থানীয় মুসল্লি রবিউল ইসলাম জানান, “আমরা প্রায় এক যুগ ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করছি। এবারও সেই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ঈদ উদযাপন করেছি এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।”

স্থানীয়দের মতে, এই পৃথক উদযাপন শান্তিপূর্ণভাবেই হয়ে থাকে এবং এতে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। প্রশাসন ও স্থানীয় নেতারাও এ বিষয়ে সচেতন এবং সহনশীল অবস্থান বজায় রাখেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

পশু নয়, কোরবানি হোক অহংকার, হিংসা ও অবিচারের”

সাতক্ষীরার ২০টিরও বেশি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা উদযাপন

আপডেট সময় ০৯:৫৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সাতক্ষীরার অন্তত ২০টি গ্রামে শুক্রবার (৬ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়েছে। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়, যাতে অংশ নেন স্থানীয় শত শত মুসল্লি, পুরুষ ও নারী উভয়েই।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাড়ুখালী আহলে সুন্নাত আল জামায়াত জামে মসজিদে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা মাহবুবুর রহমান। একই সময়ে বাওখোলা পূর্বপাড়া জামে মসজিদেও ঈদের নামাজ আদায় করা হয়, যেখানে ইমামতি করেন মাওলানা মো. মোহাব্বত আলী।

ঈদের জামাতে ইসলামকাটি, গোয়ালচত্বর, ভাদড়া, ঘোনা, মিরগিডাঙ্গাসহ আশপাশের অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষ অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন এবং ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পশু কোরবানি দেন।

স্থানীয় মুসল্লি রবিউল ইসলাম জানান, “আমরা প্রায় এক যুগ ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করছি। এবারও সেই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ঈদ উদযাপন করেছি এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।”

স্থানীয়দের মতে, এই পৃথক উদযাপন শান্তিপূর্ণভাবেই হয়ে থাকে এবং এতে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। প্রশাসন ও স্থানীয় নেতারাও এ বিষয়ে সচেতন এবং সহনশীল অবস্থান বজায় রাখেন।