ঢাকা ১২:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্প-মাস্ক সম্পর্কের অবনতি: “সম্পর্ক শেষ”, বললেন ট্রাম্প

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:৪৬:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫
  • ৫৩০ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে। সম্প্রতি এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি এটাই ধরে নেব, হ্যাঁ।” সাক্ষাৎকারে যখন জানতে চাওয়া হয় তিনি কি সম্পর্ক জোড়া লাগাতে চান, তখন ট্রাম্প স্পষ্টভাবে “না” বলে উত্তর দেন।

মূলত প্রেসিডেন্টের কর ও ব্যয় সংক্রান্ত একটি বিল নিয়ে মাস্কের প্রকাশ্য সমালোচনার পর থেকেই এই সম্পর্কের অবনতি ঘটে। বিলটি রিপাবলিকানদের উদ্যোগে হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে পাস হয়ে বর্তমানে সেনেটে রয়েছে।

ইলন মাস্ক এর আগে ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারে বিপুল অর্থ অনুদান দেন এবং হোয়াইট হাউসে কাজ করার সুযোগ পান। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তিনি উল্লেখ করেন, এই বিল জাতীয় বাজেটে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলারের ঘাটতি তৈরি করবে। মাস্ক ১২৯ দিন কাজ করার পর সরকারী দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান।

ট্রাম্প এক বক্তব্যে মাস্কের আচরণে ‘হতাশ’ হওয়ার কথা জানান। এর জবাবে মাস্ক সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) লেখেন, তিনি না থাকলে ট্রাম্প নির্বাচনে জয়ী হতে পারতেন না। এমনকি তিনি প্রয়াত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টাইনের গোপন ফাইলের সঙ্গে ট্রাম্পের নাম জড়িত থাকার ইঙ্গিতও দেন। যদিও পরে মাস্ক এসব পোস্ট মুছে ফেলেন এবং এপস্টাইনের আইনজীবীরাও এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প তাঁর সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ মাস্ককে “পাগল” আখ্যা দেন এবং ফেডারেল সরকারের সঙ্গে মাস্কের চুক্তি বাতিলের হুমকি দেন। ট্রাম্প আরও বলেন, মাস্ক প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের প্রতি অসম্মানজনক আচরণ করেছেন।

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক ট্রাম্পের প্রচারে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছিলেন। তবে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে তিনি কয়েকজন ট্রাম্পবিরোধী প্রার্থীকে সমর্থন করতে পারেন। ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন, মাস্ক যদি ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে সমর্থন করেন, তবে তাকে “মারাত্মক পরিণতির” মুখে পড়তে হতে পারে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাবি ছাত্রদলের ১২ নেতাকর্মীকে একযোগে অব্যাহতি, কারণ দায়িত্বে অবহেলা

ট্রাম্প-মাস্ক সম্পর্কের অবনতি: “সম্পর্ক শেষ”, বললেন ট্রাম্প

আপডেট সময় ১০:৪৬:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে। সম্প্রতি এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি এটাই ধরে নেব, হ্যাঁ।” সাক্ষাৎকারে যখন জানতে চাওয়া হয় তিনি কি সম্পর্ক জোড়া লাগাতে চান, তখন ট্রাম্প স্পষ্টভাবে “না” বলে উত্তর দেন।

মূলত প্রেসিডেন্টের কর ও ব্যয় সংক্রান্ত একটি বিল নিয়ে মাস্কের প্রকাশ্য সমালোচনার পর থেকেই এই সম্পর্কের অবনতি ঘটে। বিলটি রিপাবলিকানদের উদ্যোগে হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে পাস হয়ে বর্তমানে সেনেটে রয়েছে।

ইলন মাস্ক এর আগে ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারে বিপুল অর্থ অনুদান দেন এবং হোয়াইট হাউসে কাজ করার সুযোগ পান। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তিনি উল্লেখ করেন, এই বিল জাতীয় বাজেটে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলারের ঘাটতি তৈরি করবে। মাস্ক ১২৯ দিন কাজ করার পর সরকারী দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান।

ট্রাম্প এক বক্তব্যে মাস্কের আচরণে ‘হতাশ’ হওয়ার কথা জানান। এর জবাবে মাস্ক সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) লেখেন, তিনি না থাকলে ট্রাম্প নির্বাচনে জয়ী হতে পারতেন না। এমনকি তিনি প্রয়াত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টাইনের গোপন ফাইলের সঙ্গে ট্রাম্পের নাম জড়িত থাকার ইঙ্গিতও দেন। যদিও পরে মাস্ক এসব পোস্ট মুছে ফেলেন এবং এপস্টাইনের আইনজীবীরাও এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প তাঁর সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ মাস্ককে “পাগল” আখ্যা দেন এবং ফেডারেল সরকারের সঙ্গে মাস্কের চুক্তি বাতিলের হুমকি দেন। ট্রাম্প আরও বলেন, মাস্ক প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের প্রতি অসম্মানজনক আচরণ করেছেন।

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক ট্রাম্পের প্রচারে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছিলেন। তবে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে তিনি কয়েকজন ট্রাম্পবিরোধী প্রার্থীকে সমর্থন করতে পারেন। ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন, মাস্ক যদি ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে সমর্থন করেন, তবে তাকে “মারাত্মক পরিণতির” মুখে পড়তে হতে পারে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা