ঢাকা ১০:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওইটা পেনাল্টি ছিল: ক্যাবরেরা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৪৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • ৫৩৩ বার পড়া হয়েছে

এই দৃশ্যটা ম্যাচের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে। বল নিয়ে দ্রুতগতিতে সিঙ্গাপুরের বক্সে ঢুকে পড়েন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। বলে শট নেওয়ার আগমুহূর্তে তাঁকে বাজেভাবে ট্যাকল করেন সিঙ্গাপুরের ইরফান নাজফিব। পেনাল্টির জোরালো আবেদন করে টিম বাংলাদেশ। কিন্তু ফিলিপিন্সের রেফারি ক্লিফোর্ড দেপুয়েত সে আবেদনে কান তোলেননি। রেফারির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাংলাদেশের ডাগআউট থেকে শুরু করে দর্শকরা। ক্ষুব্ধ দর্শকরা একসময় মাঠে পানির বোতল নিক্ষেপ করতে থাকেন।

এদিন ম্যাচের পর রেফারিং নিয়ে অসন্তোষ জানান বাংলাদেশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা, ‘ফাহিমের ওই ফাউলটা আমি দেখিনি। তবে আমার কাছে মনে হয় এটা পরিষ্কার পেনাল্টি ছিল। ওই সময়ে আমরা যেভাবে খেলছিলাম, পুরোদমে আক্রমণ করছিলাম, আমি যদি ভুল না বলে থাকি, ২-২ হতে পারত ওই সিদ্ধান্ত পক্ষে এলে। সেটা কেন দেয়নি, তা রেফারিই ভালো বলতে পারেন। আমি মনে করি, তারা (দর্শক) হতাশ ছিল রেফারির বিরুদ্ধে। দলের প্রতি তারা হতাশ ছিল না। আপনারা ম্যাচের পরফরম্যান্স দেখেন, তাহলে আমি মনে করি, ২-২ ড্র হতো ন্যায্য ফল। সবার প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি; কিন্তু সেটা হয়নি।’

এদিকে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশ যে দুই গোল হজম করেছে, তাতে কিছুটা ভুল ছিল গোলরক্ষক মিতুল মারমার। ‘কঠিন ফল পেলাম, এটা হতেই পারে, তবে নিশ্চিতভাবেই এ ফল প্রত্যাশা করিনি আমরা। আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম, ম্যাচও সেভাবেই শুরু হয়েছিল। খুবই প্রাণশক্তিতে ভরপুর হয়ে, উপরে প্রেসিং করে খেলছিলাম। এরপর আমরা কিছু ভুল করলাম। যে গোলটা আমরা হজম করলাম, সেটা এড়াতে পারতাম। দ্বিতীয়ার্ধেও গোল খেলাম। তবে আমি মনে করি, দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত। আমরা সাহসী ছিলাম। সুযোগ তৈরি করেছিলাম।’

ম্যাচের শেষের দিকে দেখা গেছে ফুটবলারদের শরীর চলে না। এই বিষয়টিও সামনে এনেছেন বাংলাদেশ কোচ, ‘এনার্জি কমে যাওয়ার কারণ আমার মনে হয়, আমরা চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারিনি। কিছু সময় সিঙ্গাপুর আমাদের ওপর যথেষ্ট আধিপত্য করেছে। আমরা তাদের মতো মানসম্পন্ন দলের বিপক্ষে সবসময় একইভাবে মানিয়ে নিয়ে খেলতে পারিনি। দ্বিতীয়ার্ধে আপনারাও দেখেছেন আমরা আরও বেশি জমাট ছিলাম, ঘুরে দাঁড়ানো গোলও পেলাম, কিন্তু সমতায় ফিরতে পারলাম না।’

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরানে ইসরায়েলের হামলাকে ‘আইন লঙ্ঘন’ বললো জর্ডান, তীব্র প্রতিক্রিয়ায় মুসলিম বিশ্ব ও আন্তর্জাতিক মহল

ওইটা পেনাল্টি ছিল: ক্যাবরেরা

আপডেট সময় ০৯:৪৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

এই দৃশ্যটা ম্যাচের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে। বল নিয়ে দ্রুতগতিতে সিঙ্গাপুরের বক্সে ঢুকে পড়েন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। বলে শট নেওয়ার আগমুহূর্তে তাঁকে বাজেভাবে ট্যাকল করেন সিঙ্গাপুরের ইরফান নাজফিব। পেনাল্টির জোরালো আবেদন করে টিম বাংলাদেশ। কিন্তু ফিলিপিন্সের রেফারি ক্লিফোর্ড দেপুয়েত সে আবেদনে কান তোলেননি। রেফারির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাংলাদেশের ডাগআউট থেকে শুরু করে দর্শকরা। ক্ষুব্ধ দর্শকরা একসময় মাঠে পানির বোতল নিক্ষেপ করতে থাকেন।

এদিন ম্যাচের পর রেফারিং নিয়ে অসন্তোষ জানান বাংলাদেশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা, ‘ফাহিমের ওই ফাউলটা আমি দেখিনি। তবে আমার কাছে মনে হয় এটা পরিষ্কার পেনাল্টি ছিল। ওই সময়ে আমরা যেভাবে খেলছিলাম, পুরোদমে আক্রমণ করছিলাম, আমি যদি ভুল না বলে থাকি, ২-২ হতে পারত ওই সিদ্ধান্ত পক্ষে এলে। সেটা কেন দেয়নি, তা রেফারিই ভালো বলতে পারেন। আমি মনে করি, তারা (দর্শক) হতাশ ছিল রেফারির বিরুদ্ধে। দলের প্রতি তারা হতাশ ছিল না। আপনারা ম্যাচের পরফরম্যান্স দেখেন, তাহলে আমি মনে করি, ২-২ ড্র হতো ন্যায্য ফল। সবার প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি; কিন্তু সেটা হয়নি।’

এদিকে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশ যে দুই গোল হজম করেছে, তাতে কিছুটা ভুল ছিল গোলরক্ষক মিতুল মারমার। ‘কঠিন ফল পেলাম, এটা হতেই পারে, তবে নিশ্চিতভাবেই এ ফল প্রত্যাশা করিনি আমরা। আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম, ম্যাচও সেভাবেই শুরু হয়েছিল। খুবই প্রাণশক্তিতে ভরপুর হয়ে, উপরে প্রেসিং করে খেলছিলাম। এরপর আমরা কিছু ভুল করলাম। যে গোলটা আমরা হজম করলাম, সেটা এড়াতে পারতাম। দ্বিতীয়ার্ধেও গোল খেলাম। তবে আমি মনে করি, দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত। আমরা সাহসী ছিলাম। সুযোগ তৈরি করেছিলাম।’

ম্যাচের শেষের দিকে দেখা গেছে ফুটবলারদের শরীর চলে না। এই বিষয়টিও সামনে এনেছেন বাংলাদেশ কোচ, ‘এনার্জি কমে যাওয়ার কারণ আমার মনে হয়, আমরা চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারিনি। কিছু সময় সিঙ্গাপুর আমাদের ওপর যথেষ্ট আধিপত্য করেছে। আমরা তাদের মতো মানসম্পন্ন দলের বিপক্ষে সবসময় একইভাবে মানিয়ে নিয়ে খেলতে পারিনি। দ্বিতীয়ার্ধে আপনারাও দেখেছেন আমরা আরও বেশি জমাট ছিলাম, ঘুরে দাঁড়ানো গোলও পেলাম, কিন্তু সমতায় ফিরতে পারলাম না।’