ঢাকা ০১:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান দিয়ে চাকরি হারালেন মসজিদের ইমাম

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০২:২৬:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
  • ৫২৪ বার পড়া হয়েছে

এবার গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার চিকনী সরকার পাড়া জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. হামিদুল ইসলাম সুদ, ঘুষ ও জুলুমের বিরুদ্ধে স্পষ্ট বয়ান দেওয়ায় মুসল্লিদের একাংশের অসন্তোষের শিকার হয়ে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। প্রায় চার বছর ধরে মসজিদটিতে ইমামতি করলেও ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান তাকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে।

গত বছর জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে তার বয়ান কিছু মুসল্লির রোষের কারণ হয়। তাকে অবমাননাকর ভাষায় গালি দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে চাপ বাড়তে থাকে। মসজিদ পরিচালনাকারীদের একাংশ তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি শুরু করে। গত রমজানে তাকে তারাবির নামাজ পড়াতে বাধা দেওয়া হয়, এমনকি মসজিদের নাম পরিবর্তন করে চিকনী উত্তরপাড়া জামে মসজিদ রাখা হয়।

এদিকে ইমাম হামিদুল ইসলামের পক্ষে কথা বলায় স্থানীয় এক মুসল্লিকেও সামাজিকভাবে বাধ্য করা হয় সমাজ ছাড়তে। শেষ পর্যন্ত চাপ সহ্য করতে না পেরে ইমাম পদত্যাগ করেন। তিনি বলেন, “ধর্মের সত্য কথা বলার কারণে আমাকে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হলো।”

মসজিদ পরিচালনা কমিটির এক সদস্য ঘটনা স্বীকার করে বলেছেন, ইমামকে গালি দেওয়ার ঘটনা সত্য, তবে বিষয়টি আর না বাড়ানোই ভালো। অন্যদিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ঘটনাটিকে নিন্দনীয় বলে উল্লেখ করেছেন, তিনি বিষয়টি লোকমুখে শুনলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তার কাছে উঠে আসেনি বলে জানিয়েছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

শান্ত-মুশফিকের সেঞ্চুরিতে ২৯২ রানে থামলো বাংলাদেশ

সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান দিয়ে চাকরি হারালেন মসজিদের ইমাম

আপডেট সময় ০২:২৬:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

এবার গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার চিকনী সরকার পাড়া জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. হামিদুল ইসলাম সুদ, ঘুষ ও জুলুমের বিরুদ্ধে স্পষ্ট বয়ান দেওয়ায় মুসল্লিদের একাংশের অসন্তোষের শিকার হয়ে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। প্রায় চার বছর ধরে মসজিদটিতে ইমামতি করলেও ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান তাকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে।

গত বছর জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে তার বয়ান কিছু মুসল্লির রোষের কারণ হয়। তাকে অবমাননাকর ভাষায় গালি দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে চাপ বাড়তে থাকে। মসজিদ পরিচালনাকারীদের একাংশ তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি শুরু করে। গত রমজানে তাকে তারাবির নামাজ পড়াতে বাধা দেওয়া হয়, এমনকি মসজিদের নাম পরিবর্তন করে চিকনী উত্তরপাড়া জামে মসজিদ রাখা হয়।

এদিকে ইমাম হামিদুল ইসলামের পক্ষে কথা বলায় স্থানীয় এক মুসল্লিকেও সামাজিকভাবে বাধ্য করা হয় সমাজ ছাড়তে। শেষ পর্যন্ত চাপ সহ্য করতে না পেরে ইমাম পদত্যাগ করেন। তিনি বলেন, “ধর্মের সত্য কথা বলার কারণে আমাকে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হলো।”

মসজিদ পরিচালনা কমিটির এক সদস্য ঘটনা স্বীকার করে বলেছেন, ইমামকে গালি দেওয়ার ঘটনা সত্য, তবে বিষয়টি আর না বাড়ানোই ভালো। অন্যদিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ঘটনাটিকে নিন্দনীয় বলে উল্লেখ করেছেন, তিনি বিষয়টি লোকমুখে শুনলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তার কাছে উঠে আসেনি বলে জানিয়েছেন।