ঢাকা ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আকাশে রুদ্ধশ্বাস মুহূর্ত: ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে পড়তে পড়তে বেঁচে গেল বাংলাদেশি ফ্লাইট

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:৫৯:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
  • ৫৬১ বার পড়া হয়েছে

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছে একটি বাংলাদেশি উড়োজাহাজ। ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে পড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য বিপদ থেকে শেষ মুহূর্তে রক্ষা পেয়েছে ঢাকা থেকে রিয়াদগামী একটি ফ্লাইট। চরম এই মুহূর্তে বিমানের নিয়ন্ত্রণে ছিলেন ক্যাপ্টেন ইরাম তালুকদার এবং কো-পাইলট রাফসান রিয়াদ।

রাত ২টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রা করে ফ্লাইটটি। নির্ধারিত রুট অনুযায়ী এটি ভারত, ওমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের আকাশসীমা অতিক্রম করে বাহরাইনের দিকে যাচ্ছিল। পারস্য উপসাগরের আকাশে পৌঁছানোর পর হঠাৎই তারা দেখতে পান, দিগন্তজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে উজ্জ্বল আলোর ঝলকানি।

প্রথমে সামরিক মহড়ার অংশ বলে ভেবেছিলেন ক্যাপ্টেন ইরাম, কিন্তু এরপরই দেখতে পান, অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ ছেঁড়ে পশ্চিমের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। তখনই নিশ্চিত হন, এটি ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বেরই অংশ।

ঝুঁকি বুঝে সঙ্গে সঙ্গে ফ্লাইট রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন ক্যাপ্টেন। কো-পাইলট রাফসান রিয়াদ পরিস্থিতিতে কিছুটা বিচলিত হলেও দ্রুত সমন্বয়ে ফ্লাইটটিকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে আনেন তারা।

রিয়াদে অবতরণের পর খবরের মাধ্যমে জানতে পারেন, ফ্লাইট চলাকালীন সময়ে ইরান ইসরায়েলের উদ্দেশে পাল্টা হামলা চালায়।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে ক্যাপ্টেন ইরাম বলেন, “সেদিন আমি শুধু একজন পাইলট ছিলাম না, ইতিহাসের একজন জীবন্ত সাক্ষী হয়ে থাকলাম।”

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরান জানালো ‘অদৃশ্য ক্ষেপণাস্ত্র’ দিয়ে ইসরায়েলি গোয়েন্দা ঘাঁটিতে হামলা

আকাশে রুদ্ধশ্বাস মুহূর্ত: ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে পড়তে পড়তে বেঁচে গেল বাংলাদেশি ফ্লাইট

আপডেট সময় ১০:৫৯:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছে একটি বাংলাদেশি উড়োজাহাজ। ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে পড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য বিপদ থেকে শেষ মুহূর্তে রক্ষা পেয়েছে ঢাকা থেকে রিয়াদগামী একটি ফ্লাইট। চরম এই মুহূর্তে বিমানের নিয়ন্ত্রণে ছিলেন ক্যাপ্টেন ইরাম তালুকদার এবং কো-পাইলট রাফসান রিয়াদ।

রাত ২টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রা করে ফ্লাইটটি। নির্ধারিত রুট অনুযায়ী এটি ভারত, ওমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের আকাশসীমা অতিক্রম করে বাহরাইনের দিকে যাচ্ছিল। পারস্য উপসাগরের আকাশে পৌঁছানোর পর হঠাৎই তারা দেখতে পান, দিগন্তজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে উজ্জ্বল আলোর ঝলকানি।

প্রথমে সামরিক মহড়ার অংশ বলে ভেবেছিলেন ক্যাপ্টেন ইরাম, কিন্তু এরপরই দেখতে পান, অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ ছেঁড়ে পশ্চিমের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। তখনই নিশ্চিত হন, এটি ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বেরই অংশ।

ঝুঁকি বুঝে সঙ্গে সঙ্গে ফ্লাইট রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন ক্যাপ্টেন। কো-পাইলট রাফসান রিয়াদ পরিস্থিতিতে কিছুটা বিচলিত হলেও দ্রুত সমন্বয়ে ফ্লাইটটিকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে আনেন তারা।

রিয়াদে অবতরণের পর খবরের মাধ্যমে জানতে পারেন, ফ্লাইট চলাকালীন সময়ে ইরান ইসরায়েলের উদ্দেশে পাল্টা হামলা চালায়।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে ক্যাপ্টেন ইরাম বলেন, “সেদিন আমি শুধু একজন পাইলট ছিলাম না, ইতিহাসের একজন জীবন্ত সাক্ষী হয়ে থাকলাম।”