ঢাকা ১২:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তেহরানে ইসরায়েলি হামলায় বাংলাদেশি কর্মকর্তার বাসা গুঁড়িয়ে গেল

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:১০:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
  • ৫৩১ বার পড়া হয়েছে

ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তার বাসভবন। ফার্স্ট সেক্রেটারি ওয়ালিদ ইসলাম হামলার সময় বাসায় না থাকায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।

সোমবার ইসরায়েলের ঘোষিত হামলার অংশ হিসেবে তেহরানের ‘জর্ডান’ এলাকায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হানে ক্ষেপণাস্ত্র। এই এলাকায় অবস্থিত ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবন ছাড়াও বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের আবাসন রয়েছে। ওয়ালিদ ইসলাম জানান, “আমার বাসা পুরোপুরি গুঁড়িয়ে গেছে। আশপাশে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই, শুধু কয়েকটি কূটনৈতিক ভবন কোনোমতে দাঁড়িয়ে আছে।”

হামলার আশঙ্কায় বাংলাদেশ সরকার আগেই তেহরানে কর্মরত কূটনীতিক এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশ অনুযায়ী তারা দূতাবাস এলাকা ত্যাগ করেন এবং তেহরানের নিরাপদ অঞ্চলগুলোতে অবস্থান নেন।

পরিস্থিতির অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে এখন বাংলাদেশ সরকার প্রবাসীদের তেহরানের বাইরের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক জানান, তেহরানে অবস্থানরত প্রায় ৪০০ বাংলাদেশি সবাই নিরাপদে আছেন এবং তাদের উপর সর্বক্ষণ নজর রাখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, “আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে—তেহরানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

জনপ্রিয় সংবাদ

যুদ্ধ শুরুর ঘোষণা খামেনির, ট্রাম্পের হুমকি-হুঁশিয়ারি

তেহরানে ইসরায়েলি হামলায় বাংলাদেশি কর্মকর্তার বাসা গুঁড়িয়ে গেল

আপডেট সময় ১১:১০:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তার বাসভবন। ফার্স্ট সেক্রেটারি ওয়ালিদ ইসলাম হামলার সময় বাসায় না থাকায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।

সোমবার ইসরায়েলের ঘোষিত হামলার অংশ হিসেবে তেহরানের ‘জর্ডান’ এলাকায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হানে ক্ষেপণাস্ত্র। এই এলাকায় অবস্থিত ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবন ছাড়াও বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের আবাসন রয়েছে। ওয়ালিদ ইসলাম জানান, “আমার বাসা পুরোপুরি গুঁড়িয়ে গেছে। আশপাশে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই, শুধু কয়েকটি কূটনৈতিক ভবন কোনোমতে দাঁড়িয়ে আছে।”

হামলার আশঙ্কায় বাংলাদেশ সরকার আগেই তেহরানে কর্মরত কূটনীতিক এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশ অনুযায়ী তারা দূতাবাস এলাকা ত্যাগ করেন এবং তেহরানের নিরাপদ অঞ্চলগুলোতে অবস্থান নেন।

পরিস্থিতির অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে এখন বাংলাদেশ সরকার প্রবাসীদের তেহরানের বাইরের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক জানান, তেহরানে অবস্থানরত প্রায় ৪০০ বাংলাদেশি সবাই নিরাপদে আছেন এবং তাদের উপর সর্বক্ষণ নজর রাখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, “আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে—তেহরানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।