ঢাকা ০৫:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সারাবিশ্বের ক্যানসার ইসরায়েল, একে শেকড় থেকে উপড়ে ফেলতেই হবে: খামেনির হুঁশিয়ারি

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:৩২:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
  • ৫১২ বার পড়া হয়েছে

এবার ইরানের পারমাণবিক ইস্যুতে তেহরানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্য সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরান প্রশাসনকে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অকার্যকর বলে আখ্যা দিয়েছেন। ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের জবাব দিয়ে শনিবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, “ট্রাম্প শান্তির কথা বলে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছেন।”

আয়াতুল্লাহ খামেনি আরও বলেন, “শান্তির নামে ইসরায়েলের হাতে ট্রাম্প ১০ টন বোমা তুলে দিয়েছেন, যা দিয়ে গাজায় শিশু হাসপাতাল ও সাধারণ মানুষের আবাসস্থলে বোমা বর্ষণ চালানো হয়েছে।” খামেনির বক্তব্য শুনে উপস্থিত জনতা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠেন। “ইসরায়েলের পরাজয় হোক”—এই স্লোগানে গর্জে ওঠে গোটা জনসভাস্থল।

মধ্যপ্রাচ্য সফরে ট্রাম্প ইরান সম্পর্কে যে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন, তাকে মূল্যহীন বলে উল্লেখ করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা। একই সঙ্গে তিনি গাজা রক্ষায় ইসরায়েলকে প্রতিহত করার আহ্বান জানান।

আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, “ইসরায়েল ভয়ঙ্কর এক ক্যান্সারের মতো। গাজাকে বাঁচাতে হলে ইসরায়েলকে শেকড় থেকে উপড়ে ফেলতেই হবে।” এদিকে তেহরানে নৌবাহিনীর এক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি বলেন,

“গাজায় যখন দিনে দিনে শত শত ফিলিস্তিনির প্রাণ ঝরে যাচ্ছে, তখন কিভাবে ট্রাম্প শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বলেন?” তিনি আরও বলেন, “যিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন, তার শান্তির বার্তা বিশ্বাসযোগ্য নয়।”

এই উত্তেজনার মধ্যে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার চলমান আলোচনা অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে। চার দফা বৈঠকের পরও কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দুই দেশ। এমন প্রেক্ষাপটে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, “তেহরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের ন্যায্য অধিকার কখনোই ত্যাগ করবে না।”

জনপ্রিয় সংবাদ

কোন নির্বাচন আগে হবে নির্ভর করছে সরকারের ওপর: ইসি সানাউল্লাহ

সারাবিশ্বের ক্যানসার ইসরায়েল, একে শেকড় থেকে উপড়ে ফেলতেই হবে: খামেনির হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় ১১:৩২:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

এবার ইরানের পারমাণবিক ইস্যুতে তেহরানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্য সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরান প্রশাসনকে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অকার্যকর বলে আখ্যা দিয়েছেন। ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের জবাব দিয়ে শনিবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, “ট্রাম্প শান্তির কথা বলে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছেন।”

আয়াতুল্লাহ খামেনি আরও বলেন, “শান্তির নামে ইসরায়েলের হাতে ট্রাম্প ১০ টন বোমা তুলে দিয়েছেন, যা দিয়ে গাজায় শিশু হাসপাতাল ও সাধারণ মানুষের আবাসস্থলে বোমা বর্ষণ চালানো হয়েছে।” খামেনির বক্তব্য শুনে উপস্থিত জনতা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠেন। “ইসরায়েলের পরাজয় হোক”—এই স্লোগানে গর্জে ওঠে গোটা জনসভাস্থল।

মধ্যপ্রাচ্য সফরে ট্রাম্প ইরান সম্পর্কে যে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন, তাকে মূল্যহীন বলে উল্লেখ করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা। একই সঙ্গে তিনি গাজা রক্ষায় ইসরায়েলকে প্রতিহত করার আহ্বান জানান।

আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, “ইসরায়েল ভয়ঙ্কর এক ক্যান্সারের মতো। গাজাকে বাঁচাতে হলে ইসরায়েলকে শেকড় থেকে উপড়ে ফেলতেই হবে।” এদিকে তেহরানে নৌবাহিনীর এক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি বলেন,

“গাজায় যখন দিনে দিনে শত শত ফিলিস্তিনির প্রাণ ঝরে যাচ্ছে, তখন কিভাবে ট্রাম্প শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বলেন?” তিনি আরও বলেন, “যিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন, তার শান্তির বার্তা বিশ্বাসযোগ্য নয়।”

এই উত্তেজনার মধ্যে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার চলমান আলোচনা অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে। চার দফা বৈঠকের পরও কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দুই দেশ। এমন প্রেক্ষাপটে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, “তেহরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের ন্যায্য অধিকার কখনোই ত্যাগ করবে না।”