ঢাকা ০৫:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত ভাগের ডাক দিয়ে বিতর্কে অস্ট্রিয়ার কূটনীতিবিদ ফেলিঙ্গার

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৬:৫৬:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৬৬ বার পড়া হয়েছে

ভারতকে ধর্ম, জাতি ও ভাষার ভিত্তিতে টুকরো টুকরো করার প্রস্তাব দিয়েছেন অস্ট্রিয়ার অর্থনীতিবিদ ও কূটনীতিবিদ গুনথার ফেলিঙ্গার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি ভারতের মানচিত্র ভেঙে একাধিক দেশের চিত্রও প্রকাশ করেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই নয়াদিল্লি থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

সম্প্রতি রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার কারণে যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় তেলের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এ নিয়ে ভারত-আমেরিকা সম্পর্কে নতুন করে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। ভারতের গণমাধ্যমগুলো অভিযোগ করছে, ইউরোপ নিজেরা ভারতের কাছ থেকে শোধিত তেল নিচ্ছে অথচ চাপ সৃষ্টি করছে নয়াদিল্লির ওপর। এর মধ্যেই ফেলিঙ্গারের পোস্ট ইউরোপের “সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতার” বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।

ফেলিঙ্গার, যিনি ইউক্রেন, কসোভো, বসনিয়া ও অস্ট্রিয়ার ন্যাটো সদস্যপদ বিষয়ক অস্ট্রিয়ান কমিটির প্রেসিডেন্ট, এক্সে লেখেন—

“ভারতকে ভেঙে দিতে হবে। নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ার লোক। আমাদের মুক্ত খালিস্তানের বন্ধু চাই।”

তিনি প্রকাশিত মানচিত্রে উত্তর ভারতকে সম্পূর্ণ “খালিস্তান” হিসেবে দেখান। এছাড়া মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর-পূর্ব অঞ্চল, কেরালা ও তামিলনাড়ুকে আলাদা সত্তা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

নিজের পোস্টে ফেলিঙ্গার আরও দাবি করেন—

“আজ আমি শিখ ন্যারেটিভের সঙ্গে দুই ঘণ্টা আলোচনা করেছি। খালিস্তান কীভাবে স্বাধীনতা অর্জন করতে পারে তা নিয়ে কথা হয়েছে। ভারতকে ‘সাবেক ভারত’ করতে হবে। রাশিয়াপন্থি স্বৈরশাসক নরেন্দ্র মোদির কবল থেকে জনগণকে মুক্ত করার উপায় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানে ১৯ সেনা নিহত হওয়ার পর কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন শাহবাজ শরিফ

ভারত ভাগের ডাক দিয়ে বিতর্কে অস্ট্রিয়ার কূটনীতিবিদ ফেলিঙ্গার

আপডেট সময় ০৬:৫৬:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভারতকে ধর্ম, জাতি ও ভাষার ভিত্তিতে টুকরো টুকরো করার প্রস্তাব দিয়েছেন অস্ট্রিয়ার অর্থনীতিবিদ ও কূটনীতিবিদ গুনথার ফেলিঙ্গার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি ভারতের মানচিত্র ভেঙে একাধিক দেশের চিত্রও প্রকাশ করেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই নয়াদিল্লি থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

সম্প্রতি রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার কারণে যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় তেলের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এ নিয়ে ভারত-আমেরিকা সম্পর্কে নতুন করে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। ভারতের গণমাধ্যমগুলো অভিযোগ করছে, ইউরোপ নিজেরা ভারতের কাছ থেকে শোধিত তেল নিচ্ছে অথচ চাপ সৃষ্টি করছে নয়াদিল্লির ওপর। এর মধ্যেই ফেলিঙ্গারের পোস্ট ইউরোপের “সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতার” বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।

ফেলিঙ্গার, যিনি ইউক্রেন, কসোভো, বসনিয়া ও অস্ট্রিয়ার ন্যাটো সদস্যপদ বিষয়ক অস্ট্রিয়ান কমিটির প্রেসিডেন্ট, এক্সে লেখেন—

“ভারতকে ভেঙে দিতে হবে। নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ার লোক। আমাদের মুক্ত খালিস্তানের বন্ধু চাই।”

তিনি প্রকাশিত মানচিত্রে উত্তর ভারতকে সম্পূর্ণ “খালিস্তান” হিসেবে দেখান। এছাড়া মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর-পূর্ব অঞ্চল, কেরালা ও তামিলনাড়ুকে আলাদা সত্তা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

নিজের পোস্টে ফেলিঙ্গার আরও দাবি করেন—

“আজ আমি শিখ ন্যারেটিভের সঙ্গে দুই ঘণ্টা আলোচনা করেছি। খালিস্তান কীভাবে স্বাধীনতা অর্জন করতে পারে তা নিয়ে কথা হয়েছে। ভারতকে ‘সাবেক ভারত’ করতে হবে। রাশিয়াপন্থি স্বৈরশাসক নরেন্দ্র মোদির কবল থেকে জনগণকে মুক্ত করার উপায় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।”