ঢাকা ১১:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাত্র আট মাসে বুখারী শরীফ হিফজ: বিরল কৃতিত্ব গড়লেন দুই মাদরাসাছাত্র

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৭:০৫:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৮৭ বার পড়া হয়েছে

ইসলামের অন্যতম নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ সহীহ বুখারী মুখস্থ করে বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেছেন দুই তরুণ মাদরাসাছাত্র। তারা হলেন—ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার তারাটি চরপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ মাসউদুর রহমান ও কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার ইন্দা গ্রামের হাসনাইন সারওয়ার।

দুজনেই নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার বাগমুছা এলাকায় অবস্থিত আল মারকাজুল ইসলামী মাদরাসায় অধ্যয়নরত। মাসউদুর রহমান এখানে ‘হিফজুল হাদীস’ বিভাগে এবং হাসনাইন সারওয়ার ‘উলুমুল হাদীস’ বিভাগে পড়ছেন। তারা যথাক্রমে ৮ মাস ৯ দিনে ও ৮ মাস ৭ দিনে সহীহ বুখারী শরীফ হিফজ সম্পন্ন করেছেন।

তাদের অনুপ্রেরণা ও অভিজ্ঞতা

মোহাম্মদ মাসউদুর রহমান বলেন, শৈশবে নুরানীতে পড়ার সময় ৪০টি হাদীস মুখস্থ করার পর থেকেই হাদীসের প্রতি গভীর টান অনুভব করি। উস্তাদদের উৎসাহে বুখারী শরীফ হিফজের সংকল্প করি এবং আল্লাহর ফজলে তা সম্পন্ন করতে সক্ষম হই। তিনি মনে করেন, কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা যদি জালালাঈন জামাত থেকেই হাদীস মুখস্থ শুরু করে তবে এটি সহজ হয়ে যাবে।

অন্যদিকে হাসনাইন সারওয়ার জানান, তার বড় ভাই মুফতি শফিউল্লাহর অনুপ্রেরণায় তিনি হাদীস মুখস্থের পথে এগিয়ে যান। মুহাদ্দিসদের জীবনী পড়তে পড়তে বুখারী শরীফ হিফজের ইচ্ছা জন্ম নেয় এবং শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবে রূপ দেয়ার তাওফিক পান। তিনি বলেন, “পূর্ববর্তী আলেমরা লক্ষ লক্ষ হাদীস মুখস্থ করতেন, বর্তমানে হাদীস মুখস্থের বিষয়টি অবহেলিত। সেটিই আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।”

তাদের স্বপ্ন

হাসনাইন সারওয়ার ও মোহাম্মদ মাসউদুর রহমান দুজনের স্বপ্নই এক—হাদীসের খেদমতে জীবন উৎসর্গ করা। তারা বলেন, মানুষের হেদায়েতের কারণ হতে চাই এবং আল্লাহ যেন তাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন, এটাই তাদের একমাত্র প্রার্থনা।

জনপ্রিয় সংবাদ

রাস্তা থেকে উদ্ধার হওয়া সেই ২ শিশুর দায়িত্ব নিলেন ডিসি জাহিদুল

মাত্র আট মাসে বুখারী শরীফ হিফজ: বিরল কৃতিত্ব গড়লেন দুই মাদরাসাছাত্র

আপডেট সময় ০৭:০৫:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইসলামের অন্যতম নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ সহীহ বুখারী মুখস্থ করে বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেছেন দুই তরুণ মাদরাসাছাত্র। তারা হলেন—ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার তারাটি চরপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ মাসউদুর রহমান ও কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার ইন্দা গ্রামের হাসনাইন সারওয়ার।

দুজনেই নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার বাগমুছা এলাকায় অবস্থিত আল মারকাজুল ইসলামী মাদরাসায় অধ্যয়নরত। মাসউদুর রহমান এখানে ‘হিফজুল হাদীস’ বিভাগে এবং হাসনাইন সারওয়ার ‘উলুমুল হাদীস’ বিভাগে পড়ছেন। তারা যথাক্রমে ৮ মাস ৯ দিনে ও ৮ মাস ৭ দিনে সহীহ বুখারী শরীফ হিফজ সম্পন্ন করেছেন।

তাদের অনুপ্রেরণা ও অভিজ্ঞতা

মোহাম্মদ মাসউদুর রহমান বলেন, শৈশবে নুরানীতে পড়ার সময় ৪০টি হাদীস মুখস্থ করার পর থেকেই হাদীসের প্রতি গভীর টান অনুভব করি। উস্তাদদের উৎসাহে বুখারী শরীফ হিফজের সংকল্প করি এবং আল্লাহর ফজলে তা সম্পন্ন করতে সক্ষম হই। তিনি মনে করেন, কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা যদি জালালাঈন জামাত থেকেই হাদীস মুখস্থ শুরু করে তবে এটি সহজ হয়ে যাবে।

অন্যদিকে হাসনাইন সারওয়ার জানান, তার বড় ভাই মুফতি শফিউল্লাহর অনুপ্রেরণায় তিনি হাদীস মুখস্থের পথে এগিয়ে যান। মুহাদ্দিসদের জীবনী পড়তে পড়তে বুখারী শরীফ হিফজের ইচ্ছা জন্ম নেয় এবং শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবে রূপ দেয়ার তাওফিক পান। তিনি বলেন, “পূর্ববর্তী আলেমরা লক্ষ লক্ষ হাদীস মুখস্থ করতেন, বর্তমানে হাদীস মুখস্থের বিষয়টি অবহেলিত। সেটিই আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।”

তাদের স্বপ্ন

হাসনাইন সারওয়ার ও মোহাম্মদ মাসউদুর রহমান দুজনের স্বপ্নই এক—হাদীসের খেদমতে জীবন উৎসর্গ করা। তারা বলেন, মানুষের হেদায়েতের কারণ হতে চাই এবং আল্লাহ যেন তাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন, এটাই তাদের একমাত্র প্রার্থনা।