ঢাকা ০৯:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সহকর্মীর মৃত্যুর পর ভোট গণনা বর্জনের ঘোষণা দিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা সুলতানা আক্তার

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৭:২৩:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫১৪ বার পড়া হয়েছে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভোট গণনা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সুলতানা আক্তার। তিনি বলেছেন, “আমি আমার সহকর্মীর লাশের উপর দিয়ে ভোট গণনা করতে চাই না। আপনারা কি শিক্ষকের লাশের উপর দিয়ে এই রেজাল্ট চান?”

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটায় ভোট গণনার কক্ষে মাইকে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন। সুলতানা আক্তার অভিযোগ করেন, প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা ও অমানবিক কাজের চাপের কারণে চারুকলা বিভাগের শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস মারা গেছেন। এ মৃত্যুতে তিনি গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমি এই মৃত্যুর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছি এবং বিচার চাই।”

তিনি দাবি করেন, ভোট গণনা সনাতনী পদ্ধতিতে নয়, ওয়েমার মেশিনে (OMR) হওয়া উচিত ছিল। “যদি সনাতনী পদ্ধতিতে গণনা করতে হয়, তাহলে আমাদের আগেই জানানো হয়নি কেন? আমরা হলে বসেই ভোট গণনা করতে পারতাম। এইভাবে চলতে থাকলে তিন দিনেও গণনা শেষ হবে না।”

রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও জানান, তার সহকর্মী পোলিং অফিসার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ফোনে ওই কর্মকর্তা তাকে বলেছেন, “ম্যাডাম, আপনি কি আমাকে চাকর ভেবেছেন?” সুলতানা আক্তার বলেন, “আমাদের সহকর্মীরা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে, আমরা আর কতজনকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে চাই? এই অবস্থায় আমি নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলের ভোট গণনা শুরু করতে পারব না।”

তিনি স্পষ্টভাবে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা ও অমানবিক আচরণের কারণেই তার সহকর্মীর মৃত্যু হয়েছে এবং সেই মৃত্যুর দায়ভার প্রশাসনকেই নিতে হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

তফসিলের আগেই দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি মির্জা ফখরুলের

সহকর্মীর মৃত্যুর পর ভোট গণনা বর্জনের ঘোষণা দিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা সুলতানা আক্তার

আপডেট সময় ০৭:২৩:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভোট গণনা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সুলতানা আক্তার। তিনি বলেছেন, “আমি আমার সহকর্মীর লাশের উপর দিয়ে ভোট গণনা করতে চাই না। আপনারা কি শিক্ষকের লাশের উপর দিয়ে এই রেজাল্ট চান?”

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটায় ভোট গণনার কক্ষে মাইকে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন। সুলতানা আক্তার অভিযোগ করেন, প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা ও অমানবিক কাজের চাপের কারণে চারুকলা বিভাগের শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস মারা গেছেন। এ মৃত্যুতে তিনি গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমি এই মৃত্যুর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছি এবং বিচার চাই।”

তিনি দাবি করেন, ভোট গণনা সনাতনী পদ্ধতিতে নয়, ওয়েমার মেশিনে (OMR) হওয়া উচিত ছিল। “যদি সনাতনী পদ্ধতিতে গণনা করতে হয়, তাহলে আমাদের আগেই জানানো হয়নি কেন? আমরা হলে বসেই ভোট গণনা করতে পারতাম। এইভাবে চলতে থাকলে তিন দিনেও গণনা শেষ হবে না।”

রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও জানান, তার সহকর্মী পোলিং অফিসার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ফোনে ওই কর্মকর্তা তাকে বলেছেন, “ম্যাডাম, আপনি কি আমাকে চাকর ভেবেছেন?” সুলতানা আক্তার বলেন, “আমাদের সহকর্মীরা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে, আমরা আর কতজনকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে চাই? এই অবস্থায় আমি নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলের ভোট গণনা শুরু করতে পারব না।”

তিনি স্পষ্টভাবে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা ও অমানবিক আচরণের কারণেই তার সহকর্মীর মৃত্যু হয়েছে এবং সেই মৃত্যুর দায়ভার প্রশাসনকেই নিতে হবে।