জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত অপরাধের বিচার করতে না পারলে আগামী দিনেও এ ধরনের অপরাধ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের যদি শাস্তি না হয়, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ভীরু-কাপুরুষের উপমা হয়ে রয়ে যাবে। এই রাষ্ট্রব্যবস্থা অবিচারের শিকার হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ রক্ষা করার জন্য এই ন্যায়বিচার অনেক বেশি জরুরি।’
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অ্যাটর্নি জেনারেল এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ইউরোপে মানবতাবিরোধী অপরাধ কেন হয় না? কারণ এই বিচার হয়েছে। জাপান, হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়া, রোমানিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হয়েছে, সেসব দেশে পরবর্তীতে আর মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়নি। জাপানে মানবতাবিরোধী অপরাধে কয়েকজন রাষ্ট্রনেতা ও গভর্নর জেনারেলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। আমরা সব তথ্য আদালতের সামনে উপস্থাপন করেছি।’
মো. আসাদুজ্জামান উল্লেখ করেন, আসামি ও ভুক্তভোগী উভয়পক্ষের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এই ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা রাষ্ট্র এবং আদালতের দায়িত্ব। ১৪শ মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার ও ৩০ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। তাদের বাংলাদেশের মাটিতে ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘প্রসিকিউশন দেখিয়েছে কে নির্দেশ দিয়েছেন, কাকে দিয়েছেন, কে পালন করেছেন, কীভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। এই হত্যার পর গোটা জাতি জেগে উঠেছে। অপরাধীরা পালিয়ে গেছে। তারা বিচার প্রতিহত করতে নানা রকম নির্দেশনা দিচ্ছে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, প্রসিকিউশন সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। যে সাক্ষ্য-প্রমাণ এসেছে তা যেকোনো দেশে, যেকোনো আদালতে উপস্থাপন করলে আসামিদের সাজা ছাড়া বিকল্প থাকবে না। আমরা হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছি।’