রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কাছে কখনও মাথা নোয়াবে না। তবে নতুন আমেরিকান নিষেধাজ্ঞার ফলে অর্থনৈতিক কিছু ক্ষতি হতে পারে। একই সময়ে চীন ও ভারত রাশিয়ার তেলের আমদানি কমানোর প্রস্তুতি নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বুধবার রাশিয়ার দুই প্রধান তেল কোম্পানি রোসনেফট ও লুকঅইলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ পদক্ষেপের লক্ষ্য হল ক্রেমলিনকে ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে আলোচনায় বসানো। ইউরোপীয় ইউনিয়নও রাশিয়ার লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস আমদানি ধাপে ধাপে বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
পুতিন নিষেধাজ্ঞাকে “অমিত্রমূলক” ও “ফলবিহীন চাপ” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, “কোনো স্বকৃতিপূর্ণ দেশ চাপের নিচে কাজ করে না।” তবুও তিনি স্বীকার করেছেন, “কিছু ক্ষতি হবে।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাশিয়ার প্রধান তেল ক্রেতা চীন ও ভারতের আমদানি হঠাৎ কমলে তা ক্রেমলিনের তেল আয়ের জন্য বড় ধাক্কা হবে এবং বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়াবে। পুতিন ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় উন্মুক্ত থাকার কথাও বলেছেন, “সংলাপ সবসময় যুদ্ধের চেয়ে ভালো।”

















