ঢাকা ১১:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাতে বাসর, সকালে আখক্ষেতে মিলল বরের মরদেহ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:১০:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ৬২০ বার পড়া হয়েছে

পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় জামাল ফকিরের। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাতে নবদম্পতিকে পাঠানো হয় বাসরঘরে। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস- সকালেই আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় বরের লাশ পাওয়া যায়।

 

 

ঘটনাটি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের পিসনাইল গ্রামে ঘটে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে পিসনাইল গ্রামের মাঠে একটি আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় বরের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

 

 

নিহত মো. জামাল ফকির (২৮) পিসনাইল গ্রামের মো. রোজব ফকিরের ছেলে। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে জামাল ছিলেন সেজো। তবে বরের এই মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে।

 

 

 

পরিবারের দাবি, জামাল গলায় গামছা পেঁচিয়ে আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। আর স্থানীয়রা বলছেন, আখক্ষেতের বেড়ার ওই বাঁশের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করা অসম্ভব।

 

 

বরের পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে পারিবারিকভাবে পার্শ্ববর্তী নগরকান্দা উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামের মো. লিটন ভূইয়ার মেয়ে রোকেয়া আক্তারকে বিয়ে করেন জামাল। বিকেলে কনেকে নিয়ে বাড়ি আসেন বর।

 

 

 

শুক্রবার সকালে পিসনাইল গ্রামের মাঠে নিজ বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে একটি আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় জামালের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় কৃষকরা। পরে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে লাশটি নামিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

 

 

স্থানীয়রা জানান, যেভাবে মরদেহ ঝুলে ছিল,তাতে মনে হয় না সে আত্মহত্যা করেছে। কারণ বাঁশের আড়ার উচ্চতা ছিল ২ থেকে আড়াই ফিট। সেখানে ঝুলে আত্মহত্যা করলে পা মাটিতে মিশে যাবে।

 

 

জামালের স্ত্রী রোকেয়া বলেন, সকালে মানুষের চিৎকার শুনে দরজা খুলতে গিয়ে দেখি দরজা বাইরে থেকে শিকল লাগানো। পরে প্রতিবেশীরা দরজা খুলে দিলে দেখি আমার স্বামীর লাশ জমির মধ্যে পড়ে আছে।

 

 

জামালের বড় ভাই জালাল ফকির বলেন,আমার ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি খুবই রহস্যজনক। কারও সঙ্গে তার কোনো শত্রুতা ছিল না। ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, বুঝে উঠতে পারছি না।

 

 

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার ওই ছেলেটি বিয়ে করে। সকালে বাড়ির পাশে একটি আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের আড়া থেকে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় পরিবার। ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

জনপ্রিয় সংবাদ

চবি: মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গড়া আমাদের প্রতিজ্ঞা: তৌফিক

রাতে বাসর, সকালে আখক্ষেতে মিলল বরের মরদেহ

আপডেট সময় ০৮:১০:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় জামাল ফকিরের। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাতে নবদম্পতিকে পাঠানো হয় বাসরঘরে। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস- সকালেই আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় বরের লাশ পাওয়া যায়।

 

 

ঘটনাটি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের পিসনাইল গ্রামে ঘটে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে পিসনাইল গ্রামের মাঠে একটি আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় বরের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

 

 

নিহত মো. জামাল ফকির (২৮) পিসনাইল গ্রামের মো. রোজব ফকিরের ছেলে। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে জামাল ছিলেন সেজো। তবে বরের এই মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে।

 

 

 

পরিবারের দাবি, জামাল গলায় গামছা পেঁচিয়ে আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। আর স্থানীয়রা বলছেন, আখক্ষেতের বেড়ার ওই বাঁশের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করা অসম্ভব।

 

 

বরের পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে পারিবারিকভাবে পার্শ্ববর্তী নগরকান্দা উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামের মো. লিটন ভূইয়ার মেয়ে রোকেয়া আক্তারকে বিয়ে করেন জামাল। বিকেলে কনেকে নিয়ে বাড়ি আসেন বর।

 

 

 

শুক্রবার সকালে পিসনাইল গ্রামের মাঠে নিজ বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে একটি আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় জামালের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় কৃষকরা। পরে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে লাশটি নামিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

 

 

স্থানীয়রা জানান, যেভাবে মরদেহ ঝুলে ছিল,তাতে মনে হয় না সে আত্মহত্যা করেছে। কারণ বাঁশের আড়ার উচ্চতা ছিল ২ থেকে আড়াই ফিট। সেখানে ঝুলে আত্মহত্যা করলে পা মাটিতে মিশে যাবে।

 

 

জামালের স্ত্রী রোকেয়া বলেন, সকালে মানুষের চিৎকার শুনে দরজা খুলতে গিয়ে দেখি দরজা বাইরে থেকে শিকল লাগানো। পরে প্রতিবেশীরা দরজা খুলে দিলে দেখি আমার স্বামীর লাশ জমির মধ্যে পড়ে আছে।

 

 

জামালের বড় ভাই জালাল ফকির বলেন,আমার ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি খুবই রহস্যজনক। কারও সঙ্গে তার কোনো শত্রুতা ছিল না। ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, বুঝে উঠতে পারছি না।

 

 

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার ওই ছেলেটি বিয়ে করে। সকালে বাড়ির পাশে একটি আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের আড়া থেকে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় পরিবার। ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।