ঢাকা ০১:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গলাচিপায় মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:১৯:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫৩৫ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালীর গলাচিপায় হাফেজি মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি শিক্ষক মাসুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে গলাচিপা থানা পুলিশ।

 

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। দীর্ঘ প্রায় চার মাস পলাতক থাকার পর মাদ্রাসা শিক্ষক মাসুদকে পুলিশ ধরিয়ে দেয় মামলার বাদী ছাত্রীর বাবা আলী আকবর। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ আশাদুর রহমান।

 

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২১ জুন গোলখালী নূরে মদিনা মডেল মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্রী জান্নাতুলের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দাবি করে, জান্নাতুল সাপের কামড়ে মারা গেছে। তবে জান্নাতুলের বাবা আলী আকবর এ দাবি প্রথমে মেনে নিলেও পরবর্তীতে সন্দেহ হলে তিনি জানান, তার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে ধর্ষণ ও হত্যার আলামত পাওয়া যায়।

 

এরপর চলতি বছরের ২৯ জুন আলী আকবর বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩)-এর ৯(২) ধারায় পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। মামলায় মাদ্রাসার পরিচালক মাসুদুর রহমানকে প্রধান আসামি ও তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়। আদালতের নির্দেশে গলাচিপা থানা মামলাটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করে।

 

চার মাসের বেশি সময় পলাতক থাকার পর মামলার বাদীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে প্রধান আসামি মাসুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে ওইদিনই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

 

ভুক্তভোগী জান্নাতুলের বাবা আলী আকবর বলেন, ‘আমি আমার মেয়ের হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাই।’

 

গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশাদুর রহমান বলেন, ‘আসামি মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।’

 

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২১ জুন ‘গলাচিপায় হাফিজিয়া মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু’ শিরোনামে সময়ের কন্ঠস্বর অনলাইন একটি সংবাদ প্রকাশ হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

ফোন নম্বর ‘মোটু’ নামে সেভ করায় স্বামীকে ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী

গলাচিপায় মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৯:১৯:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

পটুয়াখালীর গলাচিপায় হাফেজি মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি শিক্ষক মাসুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে গলাচিপা থানা পুলিশ।

 

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। দীর্ঘ প্রায় চার মাস পলাতক থাকার পর মাদ্রাসা শিক্ষক মাসুদকে পুলিশ ধরিয়ে দেয় মামলার বাদী ছাত্রীর বাবা আলী আকবর। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ আশাদুর রহমান।

 

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২১ জুন গোলখালী নূরে মদিনা মডেল মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্রী জান্নাতুলের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দাবি করে, জান্নাতুল সাপের কামড়ে মারা গেছে। তবে জান্নাতুলের বাবা আলী আকবর এ দাবি প্রথমে মেনে নিলেও পরবর্তীতে সন্দেহ হলে তিনি জানান, তার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে ধর্ষণ ও হত্যার আলামত পাওয়া যায়।

 

এরপর চলতি বছরের ২৯ জুন আলী আকবর বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩)-এর ৯(২) ধারায় পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। মামলায় মাদ্রাসার পরিচালক মাসুদুর রহমানকে প্রধান আসামি ও তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়। আদালতের নির্দেশে গলাচিপা থানা মামলাটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করে।

 

চার মাসের বেশি সময় পলাতক থাকার পর মামলার বাদীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে প্রধান আসামি মাসুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে ওইদিনই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

 

ভুক্তভোগী জান্নাতুলের বাবা আলী আকবর বলেন, ‘আমি আমার মেয়ের হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাই।’

 

গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশাদুর রহমান বলেন, ‘আসামি মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।’

 

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২১ জুন ‘গলাচিপায় হাফিজিয়া মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু’ শিরোনামে সময়ের কন্ঠস্বর অনলাইন একটি সংবাদ প্রকাশ হয়।