দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতাকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত সাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত ওই এনসিপি নেতার নাম আসাদ খোকন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এনসিপির সমন্বয় কমিটির সদস্য ও নাসিরনগর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী আজিজুর রহমান লিটন বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আসাদ খোকনকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি তাকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, তা আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে শোকজ করা হয়েছে।
অব্যাহতির চিঠিতে বলা হয়, ‘আসাদ খোকনের বিরুদ্ধে গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের একটি অভিযোগ উত্থাপিত হয় এবং তা কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এমতাবস্থায়, আসাদ খোকনকে জেলা সমন্বয় কমিটির সদস্যপদসহ সকল দায়িত্ব থেকে আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নির্দেশক্রমে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হলো। একইসঙ্গে, কেন দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তার যথাযথ ব্যাখ্যা আগামী তিন (৩) কার্যদিবসের মধ্যে শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল-আমিন বরাবর দাখিলের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।’
উল্লেখ্য, গত ১৪ অক্টোবর সকালে নাসিরনগরে খাস জমির উন্মুক্ত ইজারায় অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে আসাদ খোকনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা। পরে এ নিয়ে ইউএনও এবং থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে এনসিপি নেতা আসাদ খোকন সাংবাদিকদের বলেছিলেন বলেন, খাস পুকুরের চারপাশের জমির মালিক আমার বাবা। উন্মুক্ত দরপত্রের দিন সকাল ১০টা থেকে আমি এসিল্যান্ড অফিসে ছিলাম। সাড়ে ১০টায় মারধরের খবর জানতে পারি। বিষয়টি এসিল্যান্ড ও ওসিও জানেন। একইদিন বিকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা আমার ওপর হামলা চালিয়েছে।



















