ঢাকা ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হামেশা ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রেপ্তার

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫৪৩ বার পড়া হয়েছে

অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের ‘হামেশা ফুড লিমিটেডের’ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আসাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

 

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিইউ) তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে সকাল ১০টার দিকে তাকে সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর করা হয়।

 

 

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসাদুল ইসলাম উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চরকামালদী এলাকায় হামেশা ফুড লিমিটেড নামে একটি কারখানা খুলে আটা-ময়দা ব্যবসা করতেন। ব্যবসার আড়ালে তিনি নানা কৌশলে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণা করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর ও ঢাকার অর্থঋণ আদালতে তিনটি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় আদালত বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করলে, ওই ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আসাদুল ইসলাম সোনারগাঁয়ের বারদী ইউনিয়নের মসলেন্দপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী ওরফে ডা. মাহমুদের ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ইমাম পরিচয় দিতেন এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতেন। এ সময় ব্যবসার নামে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। পাওনাদারদের কেউ অর্থ ফেরত চাইলে তাদের মারধর ও প্রাণনাশের হুমকিও দিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

 

অর্থ আত্মসাতের সর্বশেষ ঘটনায় গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর লালমাটিয়া এলাকার তানভীর ফ্লাওয়ার অ্যান্ড ডাল মিলসের কর্মকর্তা মো. মাহমুদ হোসাইন বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, ব্যবসার অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আসাদুল ইসলাম তার প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার কাঁচামাল প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। পরবর্তীতে টাকা ফেরত চাইলে তিনি বাদীকে মারধর ও বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান এবং পরে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।

 

 

 

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান জানান, আসাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা ও সাধারণ ডায়েরি রয়েছে। আদালতের নির্দেশে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ফোন নম্বর ‘মোটু’ নামে সেভ করায় স্বামীকে ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী

হামেশা ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ১১:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের ‘হামেশা ফুড লিমিটেডের’ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আসাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

 

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিইউ) তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে সকাল ১০টার দিকে তাকে সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর করা হয়।

 

 

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসাদুল ইসলাম উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চরকামালদী এলাকায় হামেশা ফুড লিমিটেড নামে একটি কারখানা খুলে আটা-ময়দা ব্যবসা করতেন। ব্যবসার আড়ালে তিনি নানা কৌশলে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণা করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর ও ঢাকার অর্থঋণ আদালতে তিনটি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় আদালত বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করলে, ওই ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আসাদুল ইসলাম সোনারগাঁয়ের বারদী ইউনিয়নের মসলেন্দপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী ওরফে ডা. মাহমুদের ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ইমাম পরিচয় দিতেন এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতেন। এ সময় ব্যবসার নামে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। পাওনাদারদের কেউ অর্থ ফেরত চাইলে তাদের মারধর ও প্রাণনাশের হুমকিও দিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

 

অর্থ আত্মসাতের সর্বশেষ ঘটনায় গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর লালমাটিয়া এলাকার তানভীর ফ্লাওয়ার অ্যান্ড ডাল মিলসের কর্মকর্তা মো. মাহমুদ হোসাইন বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, ব্যবসার অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আসাদুল ইসলাম তার প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার কাঁচামাল প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। পরবর্তীতে টাকা ফেরত চাইলে তিনি বাদীকে মারধর ও বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান এবং পরে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।

 

 

 

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান জানান, আসাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা ও সাধারণ ডায়েরি রয়েছে। আদালতের নির্দেশে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।