বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক আইন অনুযায়ী, কোনো সড়ক বা মহাসড়কের ৬০ ফুটের মধ্যে স্থাপনা নির্মাণ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু সেই আইনকে উপেক্ষা করে বগুড়ার নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড, কুন্দারহাট, রুপিহার, উমরপুর ও রনবাঘা এলাকায় সড়ক ও জনপথ (সওজ)-এর জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, মূল সড়কের দুই পাশে দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ী দোকানপাট গড়ে উঠেছে। এসব দোকানদাররা তাদের পণ্যের পসরা রাস্তার উপর পর্যন্ত বিস্তৃত করায় যান চলাচলের পথ সংকুচিত হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে, ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
সদ্য নির্মিত পানি নিষ্কাশন ও পথচারীদের চলাচলের জন্য তৈরি ড্রেনের উপর দই-মিষ্টির দোকান, ফলের দোকান ও বিভিন্ন মুদি দোকান নির্মাণ করায় পথচারীরা এখন চরম বিপাকে পড়েছেন। অনেক মুসল্লি অভিযোগ করেছেন—এই দোকানগুলোর কারণে তারা ঠিকভাবে মসজিদে যাতায়াত করতে পারেন না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক সময় এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আবারও পুনর্গঠিত হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার জানান, সওজ কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় প্রভাবশালী মহল ভাড়া আদায়ের নামে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড, কুন্দারহাট ও রুপিহার এলাকায় কোনো নির্ধারিত সিএনজি, বাস বা অটোরিকশা স্ট্যান্ড না থাকায় যানবাহনগুলো মহাসড়কের ধারে পার্কিং করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে রাস্তা সরু হয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। সিএনজি মালিকরা বলেন, “নন্দীগ্রামে নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। প্রশাসন বহুবার আশ্বাস দিলেও এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা হলেও সওজ বা প্রশাসন থেকে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর ফলে প্রায় প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি আমরা ইতোমধ্যেই উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় তুলেছি। নন্দীগ্রাম অংশে যেসব অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে, খুব দ্রুত সেগুলো উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”



















