ঢাকা ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারীর ছদ্মবেশে পালিয়ে গিয়েছিলেন ওসামা বিন লাদেন: সাবেক সিআইএ কর্মকর্তার চাঞ্চল্যকর দাবি

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:২৪:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫৭২ বার পড়া হয়েছে

২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর আফগানিস্তানের তোরা বোরা পাহাড়ে আল-কায়েদা প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনকে ধরতে অভিযান চালায় মার্কিন বাহিনী। কিন্তু সেই অভিযানে মার্কিন বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে নারীর ছদ্মবেশে আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে পালিয়ে যান বিন লাদেন—সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে এমন বিস্ফোরক দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক কর্মকর্তা জন কিরিয়াকু।

 

১৫ বছর সিআইএতে কাজ করা এবং পাকিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নেতৃত্বদানকারী কিরিয়াকু ভারতের সংবাদমাধ্যম এএনআইকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানান, তখন তারা বুঝতেই পারেননি যে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডারের অনুবাদক আসলে আল-কায়েদার হয়ে অনুপ্রবেশকারী একজন সদস্য ছিলেন।

 

তিনি বলেন, “২০০১ সালের অক্টোবরে আমরা নিশ্চিত ছিলাম যে বিন লাদেন তোরা বোরা পাহাড়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। আমরা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক তখনই আল-কায়েদা দাবি করে নারী ও শিশুদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে ভোর পর্যন্ত সময় দিতে।”

 

সাবেক এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, ওই অনুবাদকের পরামর্শে যুক্তরাষ্ট্র সময় দেয়। আর সেই সুযোগে বিন লাদেন নারীর পোশাক পরে অন্ধকারে একটি পিকআপ ট্রাকের পেছনে করে পাকিস্তানে পালিয়ে যান।

 

কিরিয়াকুর বর্ণনায়, “ভোর হলে দেখা যায় আত্মসমর্পণের জন্য কেউ নেই। সবাই পালিয়ে গেছে। ফলে আমাদের লড়াই পাকিস্তানে স্থানান্তর করতে হয়।”

জনপ্রিয় সংবাদ

মেহেরপুরের দু’টি সীমান্ত দিয়ে ৬০ জনকে বিএসএফের হস্তান্তর

নারীর ছদ্মবেশে পালিয়ে গিয়েছিলেন ওসামা বিন লাদেন: সাবেক সিআইএ কর্মকর্তার চাঞ্চল্যকর দাবি

আপডেট সময় ১০:২৪:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর আফগানিস্তানের তোরা বোরা পাহাড়ে আল-কায়েদা প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনকে ধরতে অভিযান চালায় মার্কিন বাহিনী। কিন্তু সেই অভিযানে মার্কিন বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে নারীর ছদ্মবেশে আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে পালিয়ে যান বিন লাদেন—সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে এমন বিস্ফোরক দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক কর্মকর্তা জন কিরিয়াকু।

 

১৫ বছর সিআইএতে কাজ করা এবং পাকিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নেতৃত্বদানকারী কিরিয়াকু ভারতের সংবাদমাধ্যম এএনআইকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানান, তখন তারা বুঝতেই পারেননি যে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডারের অনুবাদক আসলে আল-কায়েদার হয়ে অনুপ্রবেশকারী একজন সদস্য ছিলেন।

 

তিনি বলেন, “২০০১ সালের অক্টোবরে আমরা নিশ্চিত ছিলাম যে বিন লাদেন তোরা বোরা পাহাড়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। আমরা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক তখনই আল-কায়েদা দাবি করে নারী ও শিশুদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে ভোর পর্যন্ত সময় দিতে।”

 

সাবেক এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, ওই অনুবাদকের পরামর্শে যুক্তরাষ্ট্র সময় দেয়। আর সেই সুযোগে বিন লাদেন নারীর পোশাক পরে অন্ধকারে একটি পিকআপ ট্রাকের পেছনে করে পাকিস্তানে পালিয়ে যান।

 

কিরিয়াকুর বর্ণনায়, “ভোর হলে দেখা যায় আত্মসমর্পণের জন্য কেউ নেই। সবাই পালিয়ে গেছে। ফলে আমাদের লড়াই পাকিস্তানে স্থানান্তর করতে হয়।”