ঢাকা ১০:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোলায় ফের র‍্যাবের হাতে ধরা জ্বীনের বাদশা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:২৭:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫৪৮ বার পড়া হয়েছে

 

অভিনব কৌশলে প্রতারণা করে ৫৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মামলায় আবারও এক কথিত জ্বীনের বাদশাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৮ এর ভোলা ক্যাম্পের সদস্যরা। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৫৭)। রোববার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকারহাট বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

 

প্রতারক জাহাঙ্গীর মাঝি ভোলার লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের চর কালিদাস গ্রামের মাঝি বাড়ির বাসিন্দা আজগর মাঝির ছেলে।

 

রাতে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‍্যাব-৮ এর ভোলা ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শাহরিয়ার রিফাত অভি। তিনি বলেন, প্রতারক জাহাঙ্গীর মাঝিসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন সহযোগী জ্বীনের বাদশা সেজে প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে ভুয়া নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে অনলাইনে বিভিন্ন পারিবারিক সমস্যা সমাধান ও বশীকরণের বিজ্ঞাপন দিত। এর মাধ্যমে তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে আসছিল।

 

 

সম্প্রতি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার দক্ষিণ সাদেকনগর এলাকার বাসিন্দা মো. দিদারুল আলম অনলাইনে তাদের বিজ্ঞাপন দেখে প্রদত্ত নম্বরে যোগাযোগ করেন। নিজের ব্যক্তিগত সমস্যা জানানোর পর প্রতারকরা বশীকরণের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয়। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিকাশের মাধ্যমে তার কাছ থেকে মোট ৫৩ লাখ ৫ হাজার টাকা নেয় প্রতারক চক্রটি।

 

র‍্যাব কর্মকর্তা বলেন, পরে দিদারুল আলম প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে আদালতে আবেদন করেন। আদালতের নির্দেশে ফটিকছড়ি থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আমরা প্রতারক জাহাঙ্গীর মাঝিকে গ্রেপ্তার করি। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।

 

 

প্রসঙ্গত, একই মামলায় এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর ভোলার বোরহানউদ্দিন এলাকা থেকে মো. কামাল উদ্দিন মীর (৪৭) নামে আরেক কথিত জ্বীনের বাদশাকে গ্রেপ্তার করেছিল র‍্যাব-৮। কামালের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই মামলার অন্যতম পলাতক আসামি জাহাঙ্গীর মাঝিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। কামাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর মাঝির সহযোগী বলেও জানিয়েছেন র‍্যাব কর্মকর্তা।

জনপ্রিয় সংবাদ

জামায়াতকে ১৯৭১ সালেই দেখা শেষ, নতুন করে দেখার কিছু নেই : আমিনুল

ভোলায় ফের র‍্যাবের হাতে ধরা জ্বীনের বাদশা

আপডেট সময় ১১:২৭:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

 

অভিনব কৌশলে প্রতারণা করে ৫৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মামলায় আবারও এক কথিত জ্বীনের বাদশাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৮ এর ভোলা ক্যাম্পের সদস্যরা। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৫৭)। রোববার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকারহাট বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

 

প্রতারক জাহাঙ্গীর মাঝি ভোলার লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের চর কালিদাস গ্রামের মাঝি বাড়ির বাসিন্দা আজগর মাঝির ছেলে।

 

রাতে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‍্যাব-৮ এর ভোলা ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শাহরিয়ার রিফাত অভি। তিনি বলেন, প্রতারক জাহাঙ্গীর মাঝিসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন সহযোগী জ্বীনের বাদশা সেজে প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে ভুয়া নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে অনলাইনে বিভিন্ন পারিবারিক সমস্যা সমাধান ও বশীকরণের বিজ্ঞাপন দিত। এর মাধ্যমে তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে আসছিল।

 

 

সম্প্রতি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার দক্ষিণ সাদেকনগর এলাকার বাসিন্দা মো. দিদারুল আলম অনলাইনে তাদের বিজ্ঞাপন দেখে প্রদত্ত নম্বরে যোগাযোগ করেন। নিজের ব্যক্তিগত সমস্যা জানানোর পর প্রতারকরা বশীকরণের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয়। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিকাশের মাধ্যমে তার কাছ থেকে মোট ৫৩ লাখ ৫ হাজার টাকা নেয় প্রতারক চক্রটি।

 

র‍্যাব কর্মকর্তা বলেন, পরে দিদারুল আলম প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে আদালতে আবেদন করেন। আদালতের নির্দেশে ফটিকছড়ি থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আমরা প্রতারক জাহাঙ্গীর মাঝিকে গ্রেপ্তার করি। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।

 

 

প্রসঙ্গত, একই মামলায় এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর ভোলার বোরহানউদ্দিন এলাকা থেকে মো. কামাল উদ্দিন মীর (৪৭) নামে আরেক কথিত জ্বীনের বাদশাকে গ্রেপ্তার করেছিল র‍্যাব-৮। কামালের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই মামলার অন্যতম পলাতক আসামি জাহাঙ্গীর মাঝিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। কামাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর মাঝির সহযোগী বলেও জানিয়েছেন র‍্যাব কর্মকর্তা।