ঢাকা ১০:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফের মেট্রোরেলে প্রাণহানি: বাবা হারিয়ে দিশেহারা ছোট্ট আব্দুল্লাহ ও ফারিস্থা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:১৩:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫৮৮ বার পড়া হয়েছে

প্রতিদিনের মতোই আজ সকালে নারায়ণগঞ্জের পাঠানটুলী এলাকার বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন আবুল কালাম আজাদ (৩৬)। দুই সন্তান—ছয় বছরের আব্দুল্লাহ ও চার বছরের ফারিস্থা—প্রতিদিনের মতো আজও জানতে চেয়েছিল, “বাবা কোথায় যাবে?” বাবা বলেছিলেন, “অফিসে।” রাতে জুস, ললিপপ, চিপস নিয়ে ফিরবেন—এটাই ছিল তাদের ছোট্ট বায়না। কিন্তু আজকের সেই বের হওয়াই হয়ে গেল শেষ যাত্রা।

 

দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে প্রায় ১৪০-১৫০ কেজি ওজনের বেয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে তার মাথায়। মুহূর্তেই রক্তে ভেসে যায় ফুটপাত। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।

 

গণমাধ্যমে খবর দেখে তেজগাঁও থানায় ছুটে যান তার স্ত্রী আইরিন আক্তার প্রিয়া। কোলে জড়িয়ে রাখেন ছোট্ট আব্দুল্লাহ ও ফারিস্থাকে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটির মৃত্যুতে নিস্তব্ধ তাদের ভবিষ্যৎ।

 

গতকাল রাতে সর্বশেষ কথা হয়েছিল প্রিয়ার সঙ্গে। স্বপ্নের সংসার ও সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা বলতে বলতে জানিয়েছিলেন—আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কিন্তু কে জানত সেটিই হবে শেষ আলাপ।

 

মতিঝিল–ফার্মগেট–উত্তরা রুটে ট্রাভেল এজেন্সির কাজ করতেন কালাম। শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কিশোরকাটি তার গ্রাম। ঢাকায় দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে স্বপ্ন বুনছিলেন তিনি। সেই স্বপ্ন আজ ভেঙে চুরমার।

 

 

এর আগেও ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনে একইভাবে বেয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এবার সেই একই ঝুঁকি প্রাণ কাড়ল দুই শিশুর বাবার।

জনপ্রিয় সংবাদ

জামায়াতকে ১৯৭১ সালেই দেখা শেষ, নতুন করে দেখার কিছু নেই : আমিনুল

ফের মেট্রোরেলে প্রাণহানি: বাবা হারিয়ে দিশেহারা ছোট্ট আব্দুল্লাহ ও ফারিস্থা

আপডেট সময় ১২:১৩:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

প্রতিদিনের মতোই আজ সকালে নারায়ণগঞ্জের পাঠানটুলী এলাকার বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন আবুল কালাম আজাদ (৩৬)। দুই সন্তান—ছয় বছরের আব্দুল্লাহ ও চার বছরের ফারিস্থা—প্রতিদিনের মতো আজও জানতে চেয়েছিল, “বাবা কোথায় যাবে?” বাবা বলেছিলেন, “অফিসে।” রাতে জুস, ললিপপ, চিপস নিয়ে ফিরবেন—এটাই ছিল তাদের ছোট্ট বায়না। কিন্তু আজকের সেই বের হওয়াই হয়ে গেল শেষ যাত্রা।

 

দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে প্রায় ১৪০-১৫০ কেজি ওজনের বেয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে তার মাথায়। মুহূর্তেই রক্তে ভেসে যায় ফুটপাত। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।

 

গণমাধ্যমে খবর দেখে তেজগাঁও থানায় ছুটে যান তার স্ত্রী আইরিন আক্তার প্রিয়া। কোলে জড়িয়ে রাখেন ছোট্ট আব্দুল্লাহ ও ফারিস্থাকে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটির মৃত্যুতে নিস্তব্ধ তাদের ভবিষ্যৎ।

 

গতকাল রাতে সর্বশেষ কথা হয়েছিল প্রিয়ার সঙ্গে। স্বপ্নের সংসার ও সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা বলতে বলতে জানিয়েছিলেন—আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কিন্তু কে জানত সেটিই হবে শেষ আলাপ।

 

মতিঝিল–ফার্মগেট–উত্তরা রুটে ট্রাভেল এজেন্সির কাজ করতেন কালাম। শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কিশোরকাটি তার গ্রাম। ঢাকায় দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে স্বপ্ন বুনছিলেন তিনি। সেই স্বপ্ন আজ ভেঙে চুরমার।

 

 

এর আগেও ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনে একইভাবে বেয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এবার সেই একই ঝুঁকি প্রাণ কাড়ল দুই শিশুর বাবার।