ঢাকা ১০:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামিনে এসে ১১ জনকে রড দিয়ে পিটিয়ে জখম, ৫ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:২০:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ৬৭৬ বার পড়া হয়েছে

 

 

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে একটি হত্যা মামলায় প্রায় পাঁচ বছর কারাগারে থাকার পর জামিনে এসে এলাকার ১১ জনকে রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছেন এক যুবক। আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রবিবার (২৬ অক্টোবর) গভীর রাতে উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের চণ্ডিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

 

 

হামলাকারী যুবক আব্দুল বাতেন (২৩) ওই গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে।

 

 

ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে গাছের সঙ্গে শিকল ও রশি দিয়ে বেঁধে রাখে। পরে সোমবার বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বাতেন প্রায় পাঁচ বছর আগে ময়মনসিংহে এক ইজিবাইকচালককে হত্যা করে গাড়িটি ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে সে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিল।

 

দুই মাস আগে জামিনে বাড়িতে ফেরার পর তার আচরণ স্বাভাবিকই ছিল। কিন্তু রবিবার রাত ৩টার দিকে হঠাৎ করে সে চাচাতো বোন সুরাইয়ার ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে তাকে রড দিয়ে পেটাতে শুরু করে। সুরাইয়ার চিৎকারে তার বাবা ও প্রতিবেশীরা ছুটে এলে বাতেন তাদেরও পিটিয়ে জখম করে।

আহতরা হলেন— শহিদুল্লাহ ফকির (৬০), রমজান আলী (৬৫), লিটন মিয়া (৪৫), লিটনের মা জহুরা খাতুন (৭০), হোসেন আলী (৬০), হোসেনের মেয়ে সুরাইয়া খাতুন (১৫), শমলা খাতুন (৫৫), মতিন ডাক্তার (৬৫) ও নজরুল ইসলাম (৫০) প্রমুখ।

 

আহতদের মধ্যে শহিদুল্লাহ ফকিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। এছাড়া হোসেন আলী, সুরাইয়া, জহুরা খাতুন ও রমজান আলী বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

 

ঘটনার পর এলাকাবাসী বাতেনকে আটক করে আমগাছের সঙ্গে শিকল ও রশি দিয়ে বেঁধে তালা মেরে রাখে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাতেন বলেন, ‘এরা সমাজটাকে নষ্ট করে দিয়েছে। আমি সমাজের ভালোর জন্যই এই কাজ করেছি।

 

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আব্দুল মোতালেব বলেন, ‘বাতেন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত কিনা নিশ্চিত নই। তবে সে যে কাজ করেছে তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। এখন এলাকাবাসী যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তাদের পাশে থাকব।’

 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাতেনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তাকে স্থানীয়রা মারধরও করেছে। বর্তমানে তাকে ময়মনসিংহের মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার মানসিক অবস্থা উন্নত হলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জনপ্রিয় সংবাদ

জামায়াতকে ১৯৭১ সালেই দেখা শেষ, নতুন করে দেখার কিছু নেই : আমিনুল

জামিনে এসে ১১ জনকে রড দিয়ে পিটিয়ে জখম, ৫ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন

আপডেট সময় ০৯:২০:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

 

 

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে একটি হত্যা মামলায় প্রায় পাঁচ বছর কারাগারে থাকার পর জামিনে এসে এলাকার ১১ জনকে রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছেন এক যুবক। আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রবিবার (২৬ অক্টোবর) গভীর রাতে উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের চণ্ডিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

 

 

হামলাকারী যুবক আব্দুল বাতেন (২৩) ওই গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে।

 

 

ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে গাছের সঙ্গে শিকল ও রশি দিয়ে বেঁধে রাখে। পরে সোমবার বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বাতেন প্রায় পাঁচ বছর আগে ময়মনসিংহে এক ইজিবাইকচালককে হত্যা করে গাড়িটি ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে সে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিল।

 

দুই মাস আগে জামিনে বাড়িতে ফেরার পর তার আচরণ স্বাভাবিকই ছিল। কিন্তু রবিবার রাত ৩টার দিকে হঠাৎ করে সে চাচাতো বোন সুরাইয়ার ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে তাকে রড দিয়ে পেটাতে শুরু করে। সুরাইয়ার চিৎকারে তার বাবা ও প্রতিবেশীরা ছুটে এলে বাতেন তাদেরও পিটিয়ে জখম করে।

আহতরা হলেন— শহিদুল্লাহ ফকির (৬০), রমজান আলী (৬৫), লিটন মিয়া (৪৫), লিটনের মা জহুরা খাতুন (৭০), হোসেন আলী (৬০), হোসেনের মেয়ে সুরাইয়া খাতুন (১৫), শমলা খাতুন (৫৫), মতিন ডাক্তার (৬৫) ও নজরুল ইসলাম (৫০) প্রমুখ।

 

আহতদের মধ্যে শহিদুল্লাহ ফকিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। এছাড়া হোসেন আলী, সুরাইয়া, জহুরা খাতুন ও রমজান আলী বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

 

ঘটনার পর এলাকাবাসী বাতেনকে আটক করে আমগাছের সঙ্গে শিকল ও রশি দিয়ে বেঁধে তালা মেরে রাখে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাতেন বলেন, ‘এরা সমাজটাকে নষ্ট করে দিয়েছে। আমি সমাজের ভালোর জন্যই এই কাজ করেছি।

 

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আব্দুল মোতালেব বলেন, ‘বাতেন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত কিনা নিশ্চিত নই। তবে সে যে কাজ করেছে তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। এখন এলাকাবাসী যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তাদের পাশে থাকব।’

 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাতেনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তাকে স্থানীয়রা মারধরও করেছে। বর্তমানে তাকে ময়মনসিংহের মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার মানসিক অবস্থা উন্নত হলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’