ঢাকা ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাবি অধ্যাপকের ‘হিজাববিষয়ক’ মন্তব্যে ঢাবি শিক্ষিকা শেহরিন আমিনের কড়া প্রতিক্রিয়া

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৭:৪৩:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫৪৪ বার পড়া হয়েছে

হিজাব নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ. আল মামুনের বিতর্কিত মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক শেহরিন আমিন ভূঁইয়া মোনামি।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি রাবি অধ্যাপকের পোস্টটি শেয়ার করে লেখেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের এ পোস্টটি দুঃখজনকভাবে আমাদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক গোঁড়ামি, ইসলামোফোবিয়া এবং বৈষম্যমূলক মনোভাবকে প্রকাশ করেছে, যা কিছু একাডেমিক খেতাবের আড়ালে লুকিয়ে থাকে।”

তিনি আরও লেখেন, “আমাদের শিক্ষক সম্প্রদায়ের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে পক্ষপাত, অসম্মান এবং কুসংস্কার সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের উদ্বেগকে উড়িয়ে দিয়ে আসছেন। এ স্ট্যাটাসটি একটি স্মারক, যে এ ধরনের উদ্বেগ ও অভিযোগ ভিত্তিহীন ছিল না। বরং এটি প্রকাশ করে যে আমরা কতটা গভীরভাবে সাম্য, নৈতিকতা এবং সম্মানের নীতিগুলি বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছি, যা একটি একাডেমিক সম্প্রদায়কে সংজ্ঞায়িত করা উচিত।”

স্ট্যাটাসের শেষাংশে শেহরিন আমিন ভূঁইয়া মোনামি প্রশ্ন তোলেন— “আমরা কখন আমাদের শিক্ষার্থীদের কেবল তাদের পছন্দ, বিশ্বাস এবং পরিচয়ের জন্য সূক্ষ্ম বৈষম্য ও বিচারের শিকার করা বন্ধ করব?”

জনপ্রিয় সংবাদ

জামায়াতের আমিরকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য; পুবাইল থানার ওসি প্রত্যাহার

রাবি অধ্যাপকের ‘হিজাববিষয়ক’ মন্তব্যে ঢাবি শিক্ষিকা শেহরিন আমিনের কড়া প্রতিক্রিয়া

আপডেট সময় ০৭:৪৩:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

হিজাব নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ. আল মামুনের বিতর্কিত মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক শেহরিন আমিন ভূঁইয়া মোনামি।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি রাবি অধ্যাপকের পোস্টটি শেয়ার করে লেখেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের এ পোস্টটি দুঃখজনকভাবে আমাদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক গোঁড়ামি, ইসলামোফোবিয়া এবং বৈষম্যমূলক মনোভাবকে প্রকাশ করেছে, যা কিছু একাডেমিক খেতাবের আড়ালে লুকিয়ে থাকে।”

তিনি আরও লেখেন, “আমাদের শিক্ষক সম্প্রদায়ের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে পক্ষপাত, অসম্মান এবং কুসংস্কার সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের উদ্বেগকে উড়িয়ে দিয়ে আসছেন। এ স্ট্যাটাসটি একটি স্মারক, যে এ ধরনের উদ্বেগ ও অভিযোগ ভিত্তিহীন ছিল না। বরং এটি প্রকাশ করে যে আমরা কতটা গভীরভাবে সাম্য, নৈতিকতা এবং সম্মানের নীতিগুলি বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছি, যা একটি একাডেমিক সম্প্রদায়কে সংজ্ঞায়িত করা উচিত।”

স্ট্যাটাসের শেষাংশে শেহরিন আমিন ভূঁইয়া মোনামি প্রশ্ন তোলেন— “আমরা কখন আমাদের শিক্ষার্থীদের কেবল তাদের পছন্দ, বিশ্বাস এবং পরিচয়ের জন্য সূক্ষ্ম বৈষম্য ও বিচারের শিকার করা বন্ধ করব?”