রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার কাঁচাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আহ্বানকারী জনসভায় তিনি বলেন যে, ইসলামী ছাত্রশিবির যখন গঠন করা হয়, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-শাখার প্রথম সভাপতি তিনি ছিলেন, এবং সেসময় প্রকাশ্যে কাজ করা সম্ভব ছিল না — নামাজ পড়তে গোপনে উঠতে হতো।
তিনি বলেন, কয়েক বছরের মধ্যে ছাত্র-সংগঠনটি ধীরে-ধীরে জায়গা করে নেয়; জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়-এ নামাজ পড়ার কারণে একটি ছাত্রকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়, পরে ছাত্র সংসদ-নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির জিতেছে। ছাত্র সংসদ, রাবিয়াসদ ও রাকসু–সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।
আজহারুল ইসলাম আরো বলেন, “আমাদের বলা হয় রাজাকার, একাত্তর সালের স্বাধীনতাবিরোধী — তাহলে তাদের ‘কল্পিত রাজাকারকে’ ছাত্ররা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে? … মিথ্যা প্রচারণায় আমাদের দমানোর চেষ্টা হয়েছে, এ জন্যই ছাত্রদের মাঝে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।”
তিনি দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে একটি মামলায় এক হাজার ২০০ জন হত্যার দায়ে তাঁকে ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছিল। একজন মহিলাকে হত্যার দায়ে দোষারোপ করা হয়েছিল। শুনানিতে আইনজীবীরা সাক্ষীদের জিজ্ঞেস করলে শুনেছেন “দূর থেকে দেখা হয়েছে, মাঝখানে বহু বাড়ি—ঘর ছিল” — এমন মিথ্যা অপবাদের মুখে ফাঁসির রায় আসছিল। পুরনো নেতাদেরও এ ধরনের ধাপে ধাপে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।


















