অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল— জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর এমন মন্তব্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি এখন টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এনসিপির আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল। এখন তার কোর্টে বল গিয়েছে, দেখা যাক তিনি কেমন খেলতে পারেন।”
তার এমন বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল ও জল্পনা তৈরি হয়েছে। আসলেই কি আসিফ নজরুল প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন, নাকি এটি নিছকই নাসীরুদ্দীনের ব্যক্তিগত দাবি—এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ন সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে আবারও আসিফ নজরুলকে নিয়ে কথা বলেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, “আইন মন্ত্রণালয়ের ওপর আস্থা নেই, আসিফ স্যারের ওপরও আস্থা নেই। কমিশন ড্রাফট আকারে যখন হাজির করবে, আমরা সেটা পড়ব। যদি দেখি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও গণঅভ্যুত্থানের ভিত্তি প্রতিফলিত হয়েছে, তবেই আমরা স্বাক্ষর করব।”
এদিকে বিকালে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে প্রশ্ন তোলেন, “আসিফ নজরুল কার কাছে প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন?”
রাশেদ খান আরও বলেন, “৫ আগস্ট হাসিনার পতনের পর রাষ্ট্রপতিকে বহাল রেখে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন নাহিদ ইসলাম—এর ভিডিও এখনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রয়েছে। এমনকি নাহিদ ইসলাম সাক্ষ্যেও বলেছেন, ইউনূসের সঙ্গে তারা আলোচনা করেছিলেন।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “তাহলে আসিফ নজরুল কি সেই সময় নাহিদ ইসলামকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন তাকে প্রধান উপদেষ্টা করার জন্য? এমন কোনো দাবি তো নাহিদ ইসলাম বা গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাসে কোথাও উল্লেখ নেই। তাহলে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এখন হঠাৎ এ বক্তব্য দিলেন কেন? এর পেছনে কী কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে?”



















