ফেসবুকে পরিচয়,অত:পর বন্ধুত্ব। সেই বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রী। নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলায় এই ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার পর দুর্গাপুর থানায় মামলা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রংদীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার তাকে আদালতে পাঠালে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার মামলার পরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত রিংকু রংদী উপজেলার মাধুপাড়া গ্রামের সুপারসন চাম্বুগংয়ের ছেলে। সে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী।
পুলিশ জানায়,ভুক্তভোগী কিশোরী (১৪) পূর্বধলা উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। সেখানকার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগীর পরিবার ইসলাম ধর্মাবলম্বী।
মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাঁচ-ছয় মাস আগে ফেসবুকে ইসলাম ধর্মাবলম্বী ওই ছাত্রীর পরিচয় হয় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী রিংকুর সঙ্গে। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। সোমবার সকালে ওই ছাত্রী তার পরিবারকে জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় এই বলে, সে দুর্গাপুরে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছে। পরে রিংকু তাকে নিয়ে দুর্গাপুরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়ায় এবং সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে থাকার প্রস্তাব দেয়। এতে ওই ছাত্রী রাজি হয়ে সেখানে থেকে যায়। রিংকু নিজের শয়নকক্ষে ওই ছাত্রীকে থাকতে দেয়। আর সে অন্য কক্ষে ঘুমাতে যায়। রাত ১১টার দিকে কৌশলে রিংকু কক্ষে প্রবেশ ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ওই ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে এবং ফোনে পরিবারকে বিষয়টি জানায়। পরদিন সকালে ওই ছাত্রীর মা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গতকাল ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রিংকু রংদীর বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে বিকেলেই রিংকুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, মামলার পরপরই অভিযান চালিয়ে রিংকুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ভুক্তভোগী কিশোরীকেও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।


















