জুলাই সনদ ও গণভোট বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ আগামী শুক্রবারের মধ্যেই বাস্তবায়ন করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মগবাজারের আলফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, বিএনপি শুরুতে কোনো সংস্কারই চায়নি। কিন্তু জনগণের চাপে পড়ে তারা কমিশনে যোগ দিয়েছে। “তাদের জায়গা দিতে আমরা অনেক ‘স্যাক্রিফাইস’ করেছি, অনেক পয়েন্ট বাদ দিয়েছি,” মন্তব্য করেন তাহের। তার অভিযোগ, বিএনপি এখন নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়ে গণভোট কার্যত হত্যা করতে চাইছে।
গণভোট ও আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (PR) পদ্ধতির দাবি বাস্তবায়ন না হলে জামায়াতের পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে—এমন প্রশ্নে তাহের বলেন, “আমরা দাবির আন্দোলনের মধ্যেই আছি। আজ রাত পর্যন্ত দেখি সরকার কী করে, কালও সময় আছে। এরপরের সিদ্ধান্ত কালই দেখা যাবে।”
সরকারের উদ্দেশে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “বিএনপি স্পষ্ট জানিয়েছে তারা কোনোভাবেই গণভোট মানবে না। তাই সরকারকে আজই গণভোটের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। রাতের বেলাতেও তো অনেক সময় আদেশ জারি হয়।”
তিনি আরও বলেন, সময়ক্ষেপণ করতে করতে যদি শেষে বলা হয় গণভোটের সময় নেই, তাহলে তা হবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা। গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে আয়োজন করা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, এটিএম মাছুম এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ।
এর আগে, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজনের দাবিতে জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি রাজনৈতিক দল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়।
স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম সাংবাদিকদের বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ও ছাত্র-জনতার রক্তের স্বীকৃতি দিতে হলে নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট শেষ করতে হবে। এরপর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।”
 
																			 
										 ডেস্ক রিপোর্টঃ
																ডেস্ক রিপোর্টঃ								 

















