ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত ‘বেআইনি ও সহিংস’ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪০৩ জন শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের মতো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এসব বলা হয়।
সেখানে বলা হয়, উল্লিখিত সময়ে ক্যাম্পাসে সংঘটিত বেআইনি ও সহিংস ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রথমে একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটি প্রাথমিক প্রতিবেদনে ১২৮ জন শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করে এবং পরবর্তীতে সিন্ডিকেট সভায় আলোচনার মাধ্যমে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ক্যাম্পাসে সংঘটিত বেআইনি ও সহিংস ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য সিন্ডিকেট কর্তৃক একটি নতুন পাঁচ (৫) সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই তদন্ত কমিটি তাদের দ্বিতীয় সভায় প্রথম ১২৮ জনসহ সর্বমোট ৪০৩ জন শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায়। এই ৪০৩ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধেই এখন চূড়ান্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
নোটিশে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছে, কৃত অপরাধের জন্য কেন তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তার কারণ দর্শিয়ে লিখিত জবাব বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাত (৭) কার্যদিবসের মধ্যে প্রক্টরের অফিসে জমা দিতে হবে।
কর্তৃপক্ষ স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি কোনো শিক্ষার্থী জবাব দিতে ব্যর্থ হন, তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে একতরফা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




















