ঢাকা ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মামদানিকে জেতালে নিউইয়র্কবাসীকে পস্তাতে হবে: ট্রাম্প

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:১৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৩০ বার পড়া হয়েছে

 

 

কথিত আছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হলেন নিউইয়র্কের মেয়র। কেননা, নিউইয়র্ক হচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। স্বভাবতই, নিউইয়র্ক নগরীর মেয়র নির্বাচনকে নিয়ে জনমনে তুমুল আগ্রহ।

 

আজ মঙ্গলবার নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সকাল ৬টা (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টা) থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনের ভোট চলবে।

 

 

বড় বিস্ময়ের জন্ম দিয়ে এই নির্বাচনে সবার থেকে এগিয়ে আছেন মুসলিম, আফ্রো-এশীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি।

 

 

 

বিজয়ী হলে বিখ্যাত ভারতীয় চিত্রনির্মাতা মিরা নায়ারের সন্তান জোহরান মামদানিই হবেন দক্ষিণ এশিয়া থেকে নির্বাচিত এবং নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র।

 

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রাথমিক বাছাইয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষদের পরাস্ত করার পর থেকেই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কুনজরে আছেন জোহরান মামদানি।

 

জোহরান মামদানির ভক্তদের মন বিষিয়ে তুলতে ট্রাম্প বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। যদিও এটা ‘তার নির্বাচন নয়’, তবুও আদাজল খেয়ে জোহরান মামদানিকে হারানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন ট্রাম্প—এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা।

 

‘কমিউনিস্ট’ জোহরান মামদানি

ভোট শুরুর আগে প্রচারণার শেষ দিনও সেই ধারা থেকে বের হয়ে আসেননি ট্রাম্প। উল্টো হুমকি দিয়েছেন, ‘কমিউনিস্ট’ মামদানিকে জেতালে পস্তাতে হবে নিউইয়র্কবাসীকে।

 

 

সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে ট্রাম্প জোহরান মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট’ বলে গালি দিয়েছেন।

 

ট্রাম্প নিউইয়র্ককে তার ‘ভালোবাসার প্রথম আবাস’ বলে উল্লেখ করেন। তবে জোহরান মামদানি জিতে গেলে কেন্দ্রীয় সরকার খুব বেশি তহবিল দেবে না। নিউইয়র্ক তার যত প্রিয়ই হোক না কেন, তিনি ওই মহানগরীর জন্য নূন্যতম বা

 

 

‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি ভালো কাজে ব্যবহার করা যায় এমন অর্থ নিকৃষ্ট জায়গায় পাঠাব না,’ যোগ করেন ট্রাম্প।

 

গত রোববার প্রচারিত হয় সিবিএসের সিক্সটি মিনিটস অনুষ্ঠানটি। পূর্বে ধারণকৃত ওই সাক্ষাৎকারেও ট্রাম্প একই সুরে কথা বলেছিলেন।

 

তিনি জানান, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিউইয়র্ককে প্রচুর পরিমাণে অর্থ দেওয়া আমার জন্য খুব ঝামেলার হবে। কারণ আপনারা নিউইয়র্কের নির্বাচনে একজন কমিউনিস্টকে প্রার্থিতার সুযোগ দিয়েছেন। ওখানে অর্থ পাঠানো অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়।’

 

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে বিব্রত করতে তাদের ‘কমিউনিস্ট’ গালি দেওয়া ট্রাম্পের কাছে নতুন কিছু নয়। এর আগে তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসকে ‘কমিউনিস্ট’ ডেকেছিলেন। এই তালিকার অন্যান্য নামগুলোও বেশ জনপ্রিয়। বিভিন্ন সময়ে ট্রাম্পের কাছ থেকে এই খেতাব পেয়েছেন বারাক ওবামা, বার্নি স্যান্ডার্স, নিক্কি হেইলি, ন্যান্সি পেলোসি, জো বাইডেন ও টিম ওয়ালজ।

 

জোহরান মামদানিকে হারাতে মরিয়া কারা?

ট্রাম্প মূলত কারো সঙ্গে আদর্শিক সংঘাতে জড়ালে এই কৌশল অনুসরণ করেন। এ ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিকে ‘কমিউনিস্ট’ বলে তিনি সমাজতন্ত্র চর্চা করেন বা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবেন, এটা বোঝান না ট্রাম্প। এটি মূলত ‘গালি’। কমিউনিস্ট বলতে তিনি অপ্রাসঙ্গিক, বিরক্তিকর, দুর্নীতিবাজ ও অকার্যকর মানুষ বোঝান।

 

জোহরান মামদানিকে হারাতে মরিয়া ট্রাম্প

মজার বিষয় হলো, এই নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থীর বদলে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর ও ডেমোক্র্যাট নেতা অ্যান্ড্রু কুয়োমোর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ট্রাম্প।

 

এর ফলে নিজ দলের রাষ্ট্রপতির কাছেই ব্রাত্য হয়ে পড়েন রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া।

 

ট্রাম্প তার পোস্টে উল্লেখ করেন, রিপাবলিকান মেয়র প্রার্থী স্লিওয়াওকে ভোটে দেওয়া আর মামদানিকে ভোট দেওয়া একই কথা।

 

বিশ্লেষকদের মতে, এই বক্তব্যের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে তিনি নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমোর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

 

ট্রাম্প পোস্টের শেষে উল্লেখ করেন, ‘মামদানি একজন কমিউনিস্ট। তার কোনো বড় পদে কাজ করার অভিজ্ঞতা নেই এবং ব্যর্থতার ইতিহাস আছে। এমন প্রার্থীর চেয়ে বরং আমি একজন ডেমোক্র্যাটকে (কুয়োমো) বিজয়ী দেখতে চাই, যার সাফল্যের রেকর্ড আছে।’

 

কুয়োমো আজীবন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির পক্ষে লড়লেও এ বছরের মেয়র নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন।

 

 

কুয়োমো প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ৭৭ডব্লিউএবিসি রেডিওকে বলেন, ‘এখন এটা রিপাবলিকানদের হাতে। আশা করব তারা তাদের প্রেসিডেন্টের কথা শুনবেন।’

 

 

পরবর্তীতে ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কুয়োমো বলেন, ‘আমাদের এমন একজন মেয়র দরকার, যিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে দাঁড়াতে পারেন।’ তিনি ট্রাম্পের তহবিল বন্ধ ও ন্যাশনাল গার্ড পাঠানোর হুমকির কথা জানিয়ে বলেন, ‘ট্রাম্পের কাছে মামদানি পাত্তাই পাবেন না।’

 

হুমকির বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে আরও আগে

কোন শহরের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট বরাদ্দ কত হবে, তার ওপর প্রেসিডেন্টের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ নেই। এটি কংগ্রেসের সাংবিধানিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে নগর পর্যায়ের বাজেট কোন কোন খাতে খরচ করা হবে বা কাদেরকে তহবিল থেকে বঞ্চিত রাখা হবে—সে বিষয়গুলো নিয়ে আইনি জটিলতা বেড়েছে।

 

সুনির্দিষ্ট, আইনি কারণ ছাড়া কোনো নগরকে বা খাতকে তহবিল বঞ্চিত রাখা বেআইনি।

 

তবে ভোটগণনা শেষ হওয়ার অনেক আগে থেকেই ট্রাম্প প্রশাসন এই হুমকি বাস্তবায়নের পথে অনেকদূর এগিয়ে গেছে।

 

এ বছরের শুরুতে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সঙ্গে হোয়াইট হাউসের বিবাদ প্রকাশ্যে আসে।

 

চলতি বছরের শুরুতে যানজট কমানোর জন্য আর্থিক দণ্ডের বিধান চালুর উদ্যোগ নেয় নিউইয়র্ক। কিন্তু এই উদ্যোগে বাদ সাধেন ট্রাম্প। একের পর এক আইনি জটিলতা তৈরি করতে শুরু করেন। শাটডাউনের আগে এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ১৮ বিলিয়ন ডলারের একটি সুড়ঙ্গ নির্মাণ প্রকল্প আটকে দেন ট্রাম্প।

জনপ্রিয় সংবাদ

কত আসনে প্রার্থী দেবে এনসিপি, স্পষ্ট করলেন নাহিদ

মামদানিকে জেতালে নিউইয়র্কবাসীকে পস্তাতে হবে: ট্রাম্প

আপডেট সময় ০৯:১৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

 

 

কথিত আছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হলেন নিউইয়র্কের মেয়র। কেননা, নিউইয়র্ক হচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। স্বভাবতই, নিউইয়র্ক নগরীর মেয়র নির্বাচনকে নিয়ে জনমনে তুমুল আগ্রহ।

 

আজ মঙ্গলবার নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সকাল ৬টা (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টা) থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনের ভোট চলবে।

 

 

বড় বিস্ময়ের জন্ম দিয়ে এই নির্বাচনে সবার থেকে এগিয়ে আছেন মুসলিম, আফ্রো-এশীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি।

 

 

 

বিজয়ী হলে বিখ্যাত ভারতীয় চিত্রনির্মাতা মিরা নায়ারের সন্তান জোহরান মামদানিই হবেন দক্ষিণ এশিয়া থেকে নির্বাচিত এবং নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র।

 

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রাথমিক বাছাইয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষদের পরাস্ত করার পর থেকেই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কুনজরে আছেন জোহরান মামদানি।

 

জোহরান মামদানির ভক্তদের মন বিষিয়ে তুলতে ট্রাম্প বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। যদিও এটা ‘তার নির্বাচন নয়’, তবুও আদাজল খেয়ে জোহরান মামদানিকে হারানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন ট্রাম্প—এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা।

 

‘কমিউনিস্ট’ জোহরান মামদানি

ভোট শুরুর আগে প্রচারণার শেষ দিনও সেই ধারা থেকে বের হয়ে আসেননি ট্রাম্প। উল্টো হুমকি দিয়েছেন, ‘কমিউনিস্ট’ মামদানিকে জেতালে পস্তাতে হবে নিউইয়র্কবাসীকে।

 

 

সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে ট্রাম্প জোহরান মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট’ বলে গালি দিয়েছেন।

 

ট্রাম্প নিউইয়র্ককে তার ‘ভালোবাসার প্রথম আবাস’ বলে উল্লেখ করেন। তবে জোহরান মামদানি জিতে গেলে কেন্দ্রীয় সরকার খুব বেশি তহবিল দেবে না। নিউইয়র্ক তার যত প্রিয়ই হোক না কেন, তিনি ওই মহানগরীর জন্য নূন্যতম বা

 

 

‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি ভালো কাজে ব্যবহার করা যায় এমন অর্থ নিকৃষ্ট জায়গায় পাঠাব না,’ যোগ করেন ট্রাম্প।

 

গত রোববার প্রচারিত হয় সিবিএসের সিক্সটি মিনিটস অনুষ্ঠানটি। পূর্বে ধারণকৃত ওই সাক্ষাৎকারেও ট্রাম্প একই সুরে কথা বলেছিলেন।

 

তিনি জানান, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিউইয়র্ককে প্রচুর পরিমাণে অর্থ দেওয়া আমার জন্য খুব ঝামেলার হবে। কারণ আপনারা নিউইয়র্কের নির্বাচনে একজন কমিউনিস্টকে প্রার্থিতার সুযোগ দিয়েছেন। ওখানে অর্থ পাঠানো অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়।’

 

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে বিব্রত করতে তাদের ‘কমিউনিস্ট’ গালি দেওয়া ট্রাম্পের কাছে নতুন কিছু নয়। এর আগে তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসকে ‘কমিউনিস্ট’ ডেকেছিলেন। এই তালিকার অন্যান্য নামগুলোও বেশ জনপ্রিয়। বিভিন্ন সময়ে ট্রাম্পের কাছ থেকে এই খেতাব পেয়েছেন বারাক ওবামা, বার্নি স্যান্ডার্স, নিক্কি হেইলি, ন্যান্সি পেলোসি, জো বাইডেন ও টিম ওয়ালজ।

 

জোহরান মামদানিকে হারাতে মরিয়া কারা?

ট্রাম্প মূলত কারো সঙ্গে আদর্শিক সংঘাতে জড়ালে এই কৌশল অনুসরণ করেন। এ ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিকে ‘কমিউনিস্ট’ বলে তিনি সমাজতন্ত্র চর্চা করেন বা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবেন, এটা বোঝান না ট্রাম্প। এটি মূলত ‘গালি’। কমিউনিস্ট বলতে তিনি অপ্রাসঙ্গিক, বিরক্তিকর, দুর্নীতিবাজ ও অকার্যকর মানুষ বোঝান।

 

জোহরান মামদানিকে হারাতে মরিয়া ট্রাম্প

মজার বিষয় হলো, এই নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থীর বদলে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর ও ডেমোক্র্যাট নেতা অ্যান্ড্রু কুয়োমোর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ট্রাম্প।

 

এর ফলে নিজ দলের রাষ্ট্রপতির কাছেই ব্রাত্য হয়ে পড়েন রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া।

 

ট্রাম্প তার পোস্টে উল্লেখ করেন, রিপাবলিকান মেয়র প্রার্থী স্লিওয়াওকে ভোটে দেওয়া আর মামদানিকে ভোট দেওয়া একই কথা।

 

বিশ্লেষকদের মতে, এই বক্তব্যের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে তিনি নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমোর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

 

ট্রাম্প পোস্টের শেষে উল্লেখ করেন, ‘মামদানি একজন কমিউনিস্ট। তার কোনো বড় পদে কাজ করার অভিজ্ঞতা নেই এবং ব্যর্থতার ইতিহাস আছে। এমন প্রার্থীর চেয়ে বরং আমি একজন ডেমোক্র্যাটকে (কুয়োমো) বিজয়ী দেখতে চাই, যার সাফল্যের রেকর্ড আছে।’

 

কুয়োমো আজীবন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির পক্ষে লড়লেও এ বছরের মেয়র নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন।

 

 

কুয়োমো প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ৭৭ডব্লিউএবিসি রেডিওকে বলেন, ‘এখন এটা রিপাবলিকানদের হাতে। আশা করব তারা তাদের প্রেসিডেন্টের কথা শুনবেন।’

 

 

পরবর্তীতে ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কুয়োমো বলেন, ‘আমাদের এমন একজন মেয়র দরকার, যিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে দাঁড়াতে পারেন।’ তিনি ট্রাম্পের তহবিল বন্ধ ও ন্যাশনাল গার্ড পাঠানোর হুমকির কথা জানিয়ে বলেন, ‘ট্রাম্পের কাছে মামদানি পাত্তাই পাবেন না।’

 

হুমকির বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে আরও আগে

কোন শহরের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট বরাদ্দ কত হবে, তার ওপর প্রেসিডেন্টের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ নেই। এটি কংগ্রেসের সাংবিধানিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে নগর পর্যায়ের বাজেট কোন কোন খাতে খরচ করা হবে বা কাদেরকে তহবিল থেকে বঞ্চিত রাখা হবে—সে বিষয়গুলো নিয়ে আইনি জটিলতা বেড়েছে।

 

সুনির্দিষ্ট, আইনি কারণ ছাড়া কোনো নগরকে বা খাতকে তহবিল বঞ্চিত রাখা বেআইনি।

 

তবে ভোটগণনা শেষ হওয়ার অনেক আগে থেকেই ট্রাম্প প্রশাসন এই হুমকি বাস্তবায়নের পথে অনেকদূর এগিয়ে গেছে।

 

এ বছরের শুরুতে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সঙ্গে হোয়াইট হাউসের বিবাদ প্রকাশ্যে আসে।

 

চলতি বছরের শুরুতে যানজট কমানোর জন্য আর্থিক দণ্ডের বিধান চালুর উদ্যোগ নেয় নিউইয়র্ক। কিন্তু এই উদ্যোগে বাদ সাধেন ট্রাম্প। একের পর এক আইনি জটিলতা তৈরি করতে শুরু করেন। শাটডাউনের আগে এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ১৮ বিলিয়ন ডলারের একটি সুড়ঙ্গ নির্মাণ প্রকল্প আটকে দেন ট্রাম্প।