ঢাকা ১০:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোথাও মাদকের সমস্যা থাকলে তা উচ্ছেদ করার এখতিয়ার কারো থাকা উচিত নয় : জাহেদ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:০৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫২১ বার পড়া হয়েছে

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকে একটা কথা বলেছি। কোথাও যদি মাদকের সমস্যা থেকে থাকে, মানে যারা ভাসমান দোকান করেন, এইটা উচ্ছেদ করার কোনো এখতিয়ার কারো থাকা উচিত নয়। বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাসমান কিছু থাকবে না, ভাসমান কোনো বিক্রেতা থাকবেন না, বাদাম বিক্রি করা যাবে না—আমরা এই ন্যারেটিভ নিই না। এই সংকটের সময় কারো পেটে লাথি দেওয়া মেনে নেওয়া যাবে না।’

 

 

বুধবার (৫ নভেম্বর) ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।

 

 

তিনি আরো বলেন, ‘মাদকসহ অন্যান্য যেসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড আছে, সেগুলো ঠেকানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আছে, প্রয়োজনে সেখানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী থেকে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডাকসুর এই এখতিয়ার নেই। এটা জেনেশুনে ডাকসু তাদের মাঠে ছেড়েছে, শিবির ছেড়েছে। সুতরাং এই মাস্তানিটা শিবিরের মাস্তানি হিসেবে পড়তে হবে।’

 

ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘শিবির মূলত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস দেখানোর চেষ্টা করছে। তারা সো কলড ভ্রাহ্মমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটরা যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় এটা-সেটা করে বেড়াচ্ছেন, একজন মানুষ ঘুমাচ্ছে, তার জিনিসপত্র চেক করছেন, এসব নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছেন। এসব ঘটনা তাকে (সর্বমিত্র) সামনে ঠেলে দিয়ে করানো হচ্ছে।’

 

তিনি বলেন, ‘ঢাবি প্রশাসন একেবারে চুপ হয়ে আছে, এই কারণে প্রশ্ন আসে যে ভিসি আদতে জামায়াত কি না। এই অভিযোগ অনেক দিন থেকে ছিল। তিনি বিরাট একাডেমিক প্রোফাইলের মানুষ হতে পারেন, কিন্তু এই অভিযোগ ছিল। কারণ আমরা দেখছি ডাকসু এবং শিবিরকে থামানোর জন্য কোনো পদক্ষেপ তিনি নিচ্ছেন না। সো, এই ঘটনাগুলো আমাদের সামনে এটাও খুব স্পষ্ট করে।’

 

তিনি আরো বলেন, ‘সরকারের দিক থেকেও এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া খুবই জরুরি। যদি তারা থামতে না চান, নিজে থেকে তাদের থামানো দরকার। এই মাস্তানি শিবিরকে করতে দেওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়। তবে একই সঙ্গে আমি মনে করি, জনগণের বা জাতিরও দেখা উচিত, যেখানে শিবির কিছুটা এম্পাওয়ারড হয়েছে সেখানে তার চরিত্র কী হিসেবে দাঁড়াচ্ছে—এটা আমাদের রেজিস্টার করে রাখা দরকার।’

জনপ্রিয় সংবাদ

শাড়ি নিয়ে প্রতারণা, গ্রেপ্তার হতে পারেন তানজিন তিশা

কোথাও মাদকের সমস্যা থাকলে তা উচ্ছেদ করার এখতিয়ার কারো থাকা উচিত নয় : জাহেদ

আপডেট সময় ০৯:০৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকে একটা কথা বলেছি। কোথাও যদি মাদকের সমস্যা থেকে থাকে, মানে যারা ভাসমান দোকান করেন, এইটা উচ্ছেদ করার কোনো এখতিয়ার কারো থাকা উচিত নয়। বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাসমান কিছু থাকবে না, ভাসমান কোনো বিক্রেতা থাকবেন না, বাদাম বিক্রি করা যাবে না—আমরা এই ন্যারেটিভ নিই না। এই সংকটের সময় কারো পেটে লাথি দেওয়া মেনে নেওয়া যাবে না।’

 

 

বুধবার (৫ নভেম্বর) ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।

 

 

তিনি আরো বলেন, ‘মাদকসহ অন্যান্য যেসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড আছে, সেগুলো ঠেকানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আছে, প্রয়োজনে সেখানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী থেকে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডাকসুর এই এখতিয়ার নেই। এটা জেনেশুনে ডাকসু তাদের মাঠে ছেড়েছে, শিবির ছেড়েছে। সুতরাং এই মাস্তানিটা শিবিরের মাস্তানি হিসেবে পড়তে হবে।’

 

ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘শিবির মূলত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস দেখানোর চেষ্টা করছে। তারা সো কলড ভ্রাহ্মমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটরা যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় এটা-সেটা করে বেড়াচ্ছেন, একজন মানুষ ঘুমাচ্ছে, তার জিনিসপত্র চেক করছেন, এসব নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছেন। এসব ঘটনা তাকে (সর্বমিত্র) সামনে ঠেলে দিয়ে করানো হচ্ছে।’

 

তিনি বলেন, ‘ঢাবি প্রশাসন একেবারে চুপ হয়ে আছে, এই কারণে প্রশ্ন আসে যে ভিসি আদতে জামায়াত কি না। এই অভিযোগ অনেক দিন থেকে ছিল। তিনি বিরাট একাডেমিক প্রোফাইলের মানুষ হতে পারেন, কিন্তু এই অভিযোগ ছিল। কারণ আমরা দেখছি ডাকসু এবং শিবিরকে থামানোর জন্য কোনো পদক্ষেপ তিনি নিচ্ছেন না। সো, এই ঘটনাগুলো আমাদের সামনে এটাও খুব স্পষ্ট করে।’

 

তিনি আরো বলেন, ‘সরকারের দিক থেকেও এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া খুবই জরুরি। যদি তারা থামতে না চান, নিজে থেকে তাদের থামানো দরকার। এই মাস্তানি শিবিরকে করতে দেওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়। তবে একই সঙ্গে আমি মনে করি, জনগণের বা জাতিরও দেখা উচিত, যেখানে শিবির কিছুটা এম্পাওয়ারড হয়েছে সেখানে তার চরিত্র কী হিসেবে দাঁড়াচ্ছে—এটা আমাদের রেজিস্টার করে রাখা দরকার।’