ফরিদপুরের বোয়ালমারিতে জাতীয় বিপ্লব ও গণসংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচি পালন কেন্দ্র করে বিএনপির দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ১৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর অগ্নিসংযোগসহ লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, একপক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন ফরিদপুর-১ আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম। অন্যপক্ষের নেতৃত্ব দেন বোয়ালমারি উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু।
জানা গেছে, ফরিদপুর-১ আসনে দুই মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিভক্তি চলে আসছিল। এ নিয়েই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার বিকালে উভয়পক্ষ ফরিদপুরের বোয়ালমারি বাজারে পৃথকভাবে ৭ নভেম্বর পালনকে উদ্দেশ্য করে কর্মসূচি আহ্বান করে। বিকাল ৫টার দিকে দুইপক্ষের লোকজন বোয়ালমারি বাজারে জড়ো হযন। উভয়পক্ষের শত শত মানুষ যাওয়া-আসাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পালটাধাওয়ার পর শুরু হয় ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও মারধর। এ সময় হামলাকারীরা ১৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চলে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভাতে এলে বিক্ষুব্ধদের মুখে পড়ে ফিরে যায়। পরে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। গুরুতর আহত ১৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় উপজেলার সাতৈর বাজারে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজ মিয়া সভাপতিত্ব করেন।



















