ঢাকা ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যেকোন মূল্যে মনোনয়ন দরকার আওয়ামী এমপি মহুলের, আগামী সংসদে যাবার জন্য প্রস্তুত হাজার কোটি টাকা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:১১:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৩১ বার পড়া হয়েছে

 

 

আসন্ন নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ। ফলে দেশের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলেই চলছে পক্ষ বিপক্ষ বিভিন্ন দল ও মতাদর্শীদের নির্বাচনী প্রচারণা। একদিকে যেমন কারো জন্য রয়েছে প্রবল জনসমর্থনের ঢেউ, অন্যদিকে কেউ কেউ আবার পুরনো খোলস পালটে, বিপুল টাকায় কিনে নিচ্ছেন নির্বাচনী প্রচারণার মাঠ ঘাট জনসংযোগ থেকে শুরু করে স্থানীয় সাংবাদিকদের। ফলে আসন্ন নির্বাচনের প্রচারণা হয়ে উঠেছে, সুবিধাবাদিদের আগামী কয়েক মাসের নিশ্চিত আয়ের উৎস।

 

বলছি – ঝিনাইদাহ ২ আসনের, সদর ও হরিণাকুণ্ডু থেকে এখনো বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও সাবেক আওয়ামী এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগ নেতা, নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুলের নির্বাচনী প্রচারণার ইতিবৃত্ত।

 

 

চলমান তথ্য বলছে, অতীতের সব রাজনৈতিক পরিচয় ধুয়ে মুছে আওয়ামীলীগের গন্ধ এড়িয়ে, সাবেক আওয়ামী এমপি মহুল, বর্তমানে তিনি বনে গিয়েছেন বিএনপির বিশাল কান্ডারী। স্থানীয় সূত্র বলছে, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের প্রয়াত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই যখন চিকিৎসার উদ্দেশ্যে থাইল্যান্ডে, তখন নাকি ভৌতিক ভাবে আওয়ামীলীগ থেকে অব্যাহতি নিয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দেন তিনি। যার পুরোটাই অসত্য এবং বানোয়াট মিথ্যে বলে দাবী করেছেন ঝিনাইদহ জেলার স্থানীয় শীর্ষ আওয়ামী নেতৃবৃন্দ সহ জেলা সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর ঘনীষ্ট সহযোগীগণ।

 

সাবেক জেলা সভাপতির মৃত্যু ঘীরে, বনোয়াট আওয়ামী পদত্যাগের গল্প সেই সাথে আওয়ামী দুঃশাসনকালে , বিএনপির আঞ্চলিক নেতাকর্মীদের একমাত্র রক্ষক দাবীকরা বক্তব্যে সরগরম করে চলছে সাবেক আওয়ামী এমপি মহুলের নির্বাচনী প্রচারণা।

 

অথচ দেখা গিয়েছে, রাজনৈতিক ভাবে তিনি যখন যার ঘনীষ্ঠ হয়েছেন, তাকেই প্রাণ হারাতে হয়েছে নির্মম ভাবে। অথবা রাজনৈতিক ভাবে শেষ হয়েছে বহু নেতাকর্মীর স্থানীয় প্রতিনিধিত্ব। উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় ঝিনাইদহের প্রয়াত সাবেক এমপি আনার এবং পোড়াহাটি ইউনিয়নের প্রয়াত সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরণ সহ একাধিক বেশ কয়েকজন স্থানীয়নেতার কথা। যারা রাজনৈতিক ভাবে মহুলের সংস্পর্শে এসে কেউ হয়েছেন দেউলিয়া, কারো ধ্বসে গিয়েছে রাজনীতির মাঠ আবার কাউকে হারাতে হয়েছে মূল্যবান একমাত্র জীবনিশক্তি।

 

 

কেবলমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে ও ২০২৩ জাতীয় নির্বাচনে প্রতিপক্ষ আওয়ামী প্রার্থী, তাহজীব আলম সিদ্দিকী শমীকে পরাজিত করতে, যিনি জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সজিব হোসেন ও ঝিনাইদহ জেলা আ;লীগ সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে ব্যবহার করেছিলেন টিস্যু পেপারের মতো, ঠিক সেই মিন্টু সহ একাধিক আওয়ামী নেতৃবৃন্দকে পুনরায় সাবেক এমপি আনার হত্যা মামলায় গ্রেফতারের জন্য ইন্ধন দিয়েছেন বলেও শোন গিয়েছে। গোপন গোয়েন্দা সূত্র বলছে, আনার হত্যাকান্ডের পর যাদেরকে সন্দেহভাজন ভাবে তালিকাভূক্ত করা হয়েছে, সেই তালিকা প্রনয়নের সময়ও যথেষ্ঠ প্রভাব তৈরী করেছিলেন মহুল। কারো কারো ধারনা আনার হত্যা মামলায় নিজেকে সবার সন্দেহ থেকে দুরে রাখতেই এমনটা করেছিলেন তিনি।

 

আসন্ন নির্বাচনে প্রকাশ্যে না বললেও গোপনে গোপনে এখনো বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল, যার হয়ে জেলা বিএনপির একাংশ নেতৃবৃন্দ থেকে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সরগরম নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছে। অথচ দেখা গিয়েছে, অভ্যুথার পূর্ববর্তী সময়ে বিশেষ করে ৪ঠা আগষ্ট ২০২৪, তারই নির্দেশে ঝিনাইদহ সদর পৌরসভার ভেতরে দেশীয় অস্ত্রের মজুদ করে, অভ্যুথানে নেতৃত্বদেয়া ছাত্রজনতার উপর হামলা চালানো হয়েছে। যে হামলায় সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছিলো তৎকালীন পৌরসভার চেয়ারম্যান মহুলের ছোট ভাই কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল। সেই হামলায় বিএনপির জেলা অফিস পুড়িয়ে দেয়া সহ, বিভিন্ন নেতাকর্মীর উপর আক্রমণ চালানো হয়। যে মামলায় এখনো পলাতক মহুলের ভাই হিজল।

 

 

এতোকিছুর পরও কেন আলোচনায় নেই মহুলের পূর্ব ইতিহাস? কারন একটাই। জলের মতো অবিরত ধারায় অর্থ ব্যায় করছেন তিনি। জেলা সদরের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে স্থানীয় সাংবাদিক। এমন কেউ নেই যাকে অর্থ দিয়ে তুষ্ট করেন নি তিনি। সর্বনিম্ন ১ হাজার থেকে ১০ হাজার বা তারচেয়েও বেশী টাকা পর্যন্ত ব্যায় করেন জন প্রতি। অথচ অনুসন্ধানে খোঁজ নিয়ে বিগত নির্বাচনী হলফনামায় তেমন অর্থ ও সম্পদের বিবরণী পাওয়া যায় নি তার নামে। তাহলে এতো বিপুল অর্থ এবং এর উৎস কি? এছাড়াও মহুলের জন্য বিপুল পরিমাণে ব্যায় করতে দেখা গিয়েছে তৈয়বুর রহমান লাবু নামক স্থানীয় জনৈক প্রভাবশালীকে। অথচ এনবিআরের তথ্য মতো আয় এবং ব্যায়ের ইতিবৃত্তে খুব বেশি বিবরণ নেই লাবু নামক এই ব্যক্তির।

 

আশ্চর্যজনক ভাবে যে বিষয়টি সবার নজর কেড়েছে সেটি হচ্ছে, স্পষ্টত আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা ও ঝিনাইদহ জেলার সহ-সভাপতি পদে থাকার পরও বর্তমান সরকারের গুরুত্বপূর্ন জায়গা এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণনালয়ের অধিনস্ত বিশেষ বিশেষ পদে রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের শীর্ষ পদ তথা সহ-সভাপতির পদেও দেখা গিয়েছে তাকে। বিএনপির অপর এক প্রভাবশালী নেতা এবং ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আওয়ালের ঘনিষ্ঠতা অর্জনের মাধ্যমেই তিনি এটি বাগিয়ে নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন একাধিক ক্রীড়া সংগঠক ও বিশ্লেষকগণ। এছাড়াও তার ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চোখ বুলয়ে দেখা যায়, বিগত ১৬ বছরের আওয়ামী শাষন আমলের কোন পোষ্ট ছবি ব্যানার এমনকি ফেস্টুন কিছুই অবশিষ্ট রাখেন নি। পুরোটাই সরিয়ে ফেলেছন চতুরতার মাধ্যমে। যেন আওয়ামীলীগ কি সেটা তিনি জানেনই না।

 

প্রশ্ন উঠছে, প্রভাবশালী আওয়ামী নেতা থেকে বিএনপি নেতা হতে চাওয়া কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদে যেতে চাওয়া এই নেতার, অকাতরে বিলিয়ে দেয়া বিপুল অর্থের উৎস মুলত কি?

জনপ্রিয় সংবাদ

গুলিস্তানে মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট

যেকোন মূল্যে মনোনয়ন দরকার আওয়ামী এমপি মহুলের, আগামী সংসদে যাবার জন্য প্রস্তুত হাজার কোটি টাকা

আপডেট সময় ১১:১১:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

 

 

আসন্ন নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ। ফলে দেশের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলেই চলছে পক্ষ বিপক্ষ বিভিন্ন দল ও মতাদর্শীদের নির্বাচনী প্রচারণা। একদিকে যেমন কারো জন্য রয়েছে প্রবল জনসমর্থনের ঢেউ, অন্যদিকে কেউ কেউ আবার পুরনো খোলস পালটে, বিপুল টাকায় কিনে নিচ্ছেন নির্বাচনী প্রচারণার মাঠ ঘাট জনসংযোগ থেকে শুরু করে স্থানীয় সাংবাদিকদের। ফলে আসন্ন নির্বাচনের প্রচারণা হয়ে উঠেছে, সুবিধাবাদিদের আগামী কয়েক মাসের নিশ্চিত আয়ের উৎস।

 

বলছি – ঝিনাইদাহ ২ আসনের, সদর ও হরিণাকুণ্ডু থেকে এখনো বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও সাবেক আওয়ামী এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগ নেতা, নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুলের নির্বাচনী প্রচারণার ইতিবৃত্ত।

 

 

চলমান তথ্য বলছে, অতীতের সব রাজনৈতিক পরিচয় ধুয়ে মুছে আওয়ামীলীগের গন্ধ এড়িয়ে, সাবেক আওয়ামী এমপি মহুল, বর্তমানে তিনি বনে গিয়েছেন বিএনপির বিশাল কান্ডারী। স্থানীয় সূত্র বলছে, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের প্রয়াত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই যখন চিকিৎসার উদ্দেশ্যে থাইল্যান্ডে, তখন নাকি ভৌতিক ভাবে আওয়ামীলীগ থেকে অব্যাহতি নিয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দেন তিনি। যার পুরোটাই অসত্য এবং বানোয়াট মিথ্যে বলে দাবী করেছেন ঝিনাইদহ জেলার স্থানীয় শীর্ষ আওয়ামী নেতৃবৃন্দ সহ জেলা সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর ঘনীষ্ট সহযোগীগণ।

 

সাবেক জেলা সভাপতির মৃত্যু ঘীরে, বনোয়াট আওয়ামী পদত্যাগের গল্প সেই সাথে আওয়ামী দুঃশাসনকালে , বিএনপির আঞ্চলিক নেতাকর্মীদের একমাত্র রক্ষক দাবীকরা বক্তব্যে সরগরম করে চলছে সাবেক আওয়ামী এমপি মহুলের নির্বাচনী প্রচারণা।

 

অথচ দেখা গিয়েছে, রাজনৈতিক ভাবে তিনি যখন যার ঘনীষ্ঠ হয়েছেন, তাকেই প্রাণ হারাতে হয়েছে নির্মম ভাবে। অথবা রাজনৈতিক ভাবে শেষ হয়েছে বহু নেতাকর্মীর স্থানীয় প্রতিনিধিত্ব। উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় ঝিনাইদহের প্রয়াত সাবেক এমপি আনার এবং পোড়াহাটি ইউনিয়নের প্রয়াত সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরণ সহ একাধিক বেশ কয়েকজন স্থানীয়নেতার কথা। যারা রাজনৈতিক ভাবে মহুলের সংস্পর্শে এসে কেউ হয়েছেন দেউলিয়া, কারো ধ্বসে গিয়েছে রাজনীতির মাঠ আবার কাউকে হারাতে হয়েছে মূল্যবান একমাত্র জীবনিশক্তি।

 

 

কেবলমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে ও ২০২৩ জাতীয় নির্বাচনে প্রতিপক্ষ আওয়ামী প্রার্থী, তাহজীব আলম সিদ্দিকী শমীকে পরাজিত করতে, যিনি জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সজিব হোসেন ও ঝিনাইদহ জেলা আ;লীগ সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে ব্যবহার করেছিলেন টিস্যু পেপারের মতো, ঠিক সেই মিন্টু সহ একাধিক আওয়ামী নেতৃবৃন্দকে পুনরায় সাবেক এমপি আনার হত্যা মামলায় গ্রেফতারের জন্য ইন্ধন দিয়েছেন বলেও শোন গিয়েছে। গোপন গোয়েন্দা সূত্র বলছে, আনার হত্যাকান্ডের পর যাদেরকে সন্দেহভাজন ভাবে তালিকাভূক্ত করা হয়েছে, সেই তালিকা প্রনয়নের সময়ও যথেষ্ঠ প্রভাব তৈরী করেছিলেন মহুল। কারো কারো ধারনা আনার হত্যা মামলায় নিজেকে সবার সন্দেহ থেকে দুরে রাখতেই এমনটা করেছিলেন তিনি।

 

আসন্ন নির্বাচনে প্রকাশ্যে না বললেও গোপনে গোপনে এখনো বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল, যার হয়ে জেলা বিএনপির একাংশ নেতৃবৃন্দ থেকে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সরগরম নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছে। অথচ দেখা গিয়েছে, অভ্যুথার পূর্ববর্তী সময়ে বিশেষ করে ৪ঠা আগষ্ট ২০২৪, তারই নির্দেশে ঝিনাইদহ সদর পৌরসভার ভেতরে দেশীয় অস্ত্রের মজুদ করে, অভ্যুথানে নেতৃত্বদেয়া ছাত্রজনতার উপর হামলা চালানো হয়েছে। যে হামলায় সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছিলো তৎকালীন পৌরসভার চেয়ারম্যান মহুলের ছোট ভাই কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল। সেই হামলায় বিএনপির জেলা অফিস পুড়িয়ে দেয়া সহ, বিভিন্ন নেতাকর্মীর উপর আক্রমণ চালানো হয়। যে মামলায় এখনো পলাতক মহুলের ভাই হিজল।

 

 

এতোকিছুর পরও কেন আলোচনায় নেই মহুলের পূর্ব ইতিহাস? কারন একটাই। জলের মতো অবিরত ধারায় অর্থ ব্যায় করছেন তিনি। জেলা সদরের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে স্থানীয় সাংবাদিক। এমন কেউ নেই যাকে অর্থ দিয়ে তুষ্ট করেন নি তিনি। সর্বনিম্ন ১ হাজার থেকে ১০ হাজার বা তারচেয়েও বেশী টাকা পর্যন্ত ব্যায় করেন জন প্রতি। অথচ অনুসন্ধানে খোঁজ নিয়ে বিগত নির্বাচনী হলফনামায় তেমন অর্থ ও সম্পদের বিবরণী পাওয়া যায় নি তার নামে। তাহলে এতো বিপুল অর্থ এবং এর উৎস কি? এছাড়াও মহুলের জন্য বিপুল পরিমাণে ব্যায় করতে দেখা গিয়েছে তৈয়বুর রহমান লাবু নামক স্থানীয় জনৈক প্রভাবশালীকে। অথচ এনবিআরের তথ্য মতো আয় এবং ব্যায়ের ইতিবৃত্তে খুব বেশি বিবরণ নেই লাবু নামক এই ব্যক্তির।

 

আশ্চর্যজনক ভাবে যে বিষয়টি সবার নজর কেড়েছে সেটি হচ্ছে, স্পষ্টত আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা ও ঝিনাইদহ জেলার সহ-সভাপতি পদে থাকার পরও বর্তমান সরকারের গুরুত্বপূর্ন জায়গা এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণনালয়ের অধিনস্ত বিশেষ বিশেষ পদে রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের শীর্ষ পদ তথা সহ-সভাপতির পদেও দেখা গিয়েছে তাকে। বিএনপির অপর এক প্রভাবশালী নেতা এবং ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আওয়ালের ঘনিষ্ঠতা অর্জনের মাধ্যমেই তিনি এটি বাগিয়ে নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন একাধিক ক্রীড়া সংগঠক ও বিশ্লেষকগণ। এছাড়াও তার ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চোখ বুলয়ে দেখা যায়, বিগত ১৬ বছরের আওয়ামী শাষন আমলের কোন পোষ্ট ছবি ব্যানার এমনকি ফেস্টুন কিছুই অবশিষ্ট রাখেন নি। পুরোটাই সরিয়ে ফেলেছন চতুরতার মাধ্যমে। যেন আওয়ামীলীগ কি সেটা তিনি জানেনই না।

 

প্রশ্ন উঠছে, প্রভাবশালী আওয়ামী নেতা থেকে বিএনপি নেতা হতে চাওয়া কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদে যেতে চাওয়া এই নেতার, অকাতরে বিলিয়ে দেয়া বিপুল অর্থের উৎস মুলত কি?