ঢাকা ০৭:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শততম টেস্টে ইতিহাস গড়ে মুশফিকের কৃতজ্ঞতা—‘সবচেয়ে বড় ত্যাগটা করেছে আমার স্ত্রী’

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৬:৩২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৫৬ বার পড়া হয়েছে

২০ বছরের দীর্ঘ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে একাগ্রতা, পরিশ্রম আর অনবরত ক্ষুধা নিয়েই নিজেকে প্রতিদিন গড়ে তুলেছেন মুশফিকুর রহিম। সেই অধ্যবসায়ের পুরস্কার হিসেবে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে খেললেন তার শততম টেস্ট। আর এই বিশেষ ম্যাচেই তুলে নিলেন দৃষ্টিনন্দন সেঞ্চুরি।

ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ রয়েছে পরিষ্কার এগিয়ে। দিনশেষের সংবাদ সম্মেলনে এসে মুশফিক জানালেন, তার ক্যারিয়ারকে এত দূর পর্যন্ত নিয়ে আসার পেছনে সবচেয়ে বড় ত্যাগ স্বীকার করেছেন তার স্ত্রীই। তিনি জানান, অন্যদের চেয়ে বেশি সময় জিম, মাঠ বা নেটে কাটান তিনি। এই ধরণের জীবনযাপন সম্ভব হতো না যদি ঘরে শান্তি ও সমর্থন না থাকত।

মুশফিক বলেন,
‘আমি আসলেই একজন বোরিং মানুষ। প্রতিদিন একই রুটিনে অনুশীলন করি। আমার হাতে শুধু সততাই আছে। আর আমার জন্য সবচেয়ে বড় ত্যাগটা করেছে আমার স্ত্রী। ঘরে যদি এমন পরিবেশ না থাকত, তাহলে এত অনুশীলন কখনোই সম্ভব হতো না।’

প্রথম দিন ৯৯ রানে অপরাজিত থাকা—এ অভিজ্ঞতা তার ক্যারিয়ারে ছিল নতুন। নিজের শততম টেস্ট খেলতে পারাটা যে কখনো কল্পনাতেও ভাবেননি, সেটিও জানালেন ৩৮ বছর বয়সী এই উইকেটকিপার-ব্যাটার। রসিকতা করে তিনি বলেন,
‘বাংলাদেশে তো একটা টেস্টের পর পরেরটা খেলাই কঠিন—সেখানে আমি ১০০ ম্যাচ খেললাম!’

ক্যারিয়ার নিয়ে সন্তুষ্ট হলেও এখানেই থামতে চান না তিনি। আরও উন্নতি করতে চান এবং নিজের উত্তরসূরি তৈরি করে যেতে চান—
‘নিজেকে নিয়ে আমি খুশি। দেশের জার্সিতে প্রতিটি টেস্টই ছিল গর্বের। আমি যাওয়ার পর যেন এক-দু’জনকে প্রস্তুত করে যেতে পারি, সেই চেষ্টা থাকবে।’

জনপ্রিয় সংবাদ

শততম টেস্টে ইতিহাস গড়ে মুশফিকের কৃতজ্ঞতা—‘সবচেয়ে বড় ত্যাগটা করেছে আমার স্ত্রী’

আপডেট সময় ০৬:৩২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

২০ বছরের দীর্ঘ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে একাগ্রতা, পরিশ্রম আর অনবরত ক্ষুধা নিয়েই নিজেকে প্রতিদিন গড়ে তুলেছেন মুশফিকুর রহিম। সেই অধ্যবসায়ের পুরস্কার হিসেবে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে খেললেন তার শততম টেস্ট। আর এই বিশেষ ম্যাচেই তুলে নিলেন দৃষ্টিনন্দন সেঞ্চুরি।

ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ রয়েছে পরিষ্কার এগিয়ে। দিনশেষের সংবাদ সম্মেলনে এসে মুশফিক জানালেন, তার ক্যারিয়ারকে এত দূর পর্যন্ত নিয়ে আসার পেছনে সবচেয়ে বড় ত্যাগ স্বীকার করেছেন তার স্ত্রীই। তিনি জানান, অন্যদের চেয়ে বেশি সময় জিম, মাঠ বা নেটে কাটান তিনি। এই ধরণের জীবনযাপন সম্ভব হতো না যদি ঘরে শান্তি ও সমর্থন না থাকত।

মুশফিক বলেন,
‘আমি আসলেই একজন বোরিং মানুষ। প্রতিদিন একই রুটিনে অনুশীলন করি। আমার হাতে শুধু সততাই আছে। আর আমার জন্য সবচেয়ে বড় ত্যাগটা করেছে আমার স্ত্রী। ঘরে যদি এমন পরিবেশ না থাকত, তাহলে এত অনুশীলন কখনোই সম্ভব হতো না।’

প্রথম দিন ৯৯ রানে অপরাজিত থাকা—এ অভিজ্ঞতা তার ক্যারিয়ারে ছিল নতুন। নিজের শততম টেস্ট খেলতে পারাটা যে কখনো কল্পনাতেও ভাবেননি, সেটিও জানালেন ৩৮ বছর বয়সী এই উইকেটকিপার-ব্যাটার। রসিকতা করে তিনি বলেন,
‘বাংলাদেশে তো একটা টেস্টের পর পরেরটা খেলাই কঠিন—সেখানে আমি ১০০ ম্যাচ খেললাম!’

ক্যারিয়ার নিয়ে সন্তুষ্ট হলেও এখানেই থামতে চান না তিনি। আরও উন্নতি করতে চান এবং নিজের উত্তরসূরি তৈরি করে যেতে চান—
‘নিজেকে নিয়ে আমি খুশি। দেশের জার্সিতে প্রতিটি টেস্টই ছিল গর্বের। আমি যাওয়ার পর যেন এক-দু’জনকে প্রস্তুত করে যেতে পারি, সেই চেষ্টা থাকবে।’