তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের রায়কে ‘যুগান্তকারী’ অভিহিত করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে দলটির দাবি, রায়ের পর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সামনে এসেছে—তত্ত্বাবধায়ক সরকার কি ত্রয়োদশ সংশোধনীর মতো হবে, নাকি জুলাই সনদে বর্ণিত কাঠামো অনুযায়ী গঠিত হবে?
এনসিপি বলছে, এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না, অথচ জুলাই সনদের ব্যত্যয়ের সুযোগ নেই।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন এসব মন্তব্য করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে হাসিনা সরকার ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে একতরফা নির্বাচন আয়োজন করেছিল। এর মধ্য দিয়ে দেশে ফ্যাসিবাদের দ্বার উন্মুক্ত হয়।
তার ভাষ্য, “তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের রায়ের মাধ্যমে হাসিনা সরকারের সময়ে দেওয়া কলঙ্কজনক রায় থেকে জাতি ও বিচার বিভাগ মুক্তি পেয়েছে।”
এনসিপি নেতা আখতার হোসেন বলেন, রায় ঘোষণার পর এখন মূল প্রশ্ন— তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে কোন কাঠামোতে? ত্রয়োদশ সংশোধনীর মডেল, নাকি জুলাই সনদের মডেল?
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার বিষয়টি পরিষ্কার করছে না। যদিও অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, জুলাই সনদ অনুযায়ীই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন হবে।
কিন্তু বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল ত্রয়োদশ সংশোধনীতে ফিরে যাওয়ার দাবি তুলছে। আখতার হোসেন মনে করেন, ত্রয়োদশ সংশোধনীর মডেল দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সংকট তৈরি করেছে এবং এক–এগারোর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল।
তিনি বলেন, “শুধু বিচার বিভাগের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে জুলাই সনদে যেভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের কথা বলা হয়েছে, সেটিই শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের সবচেয়ে উপযোগী পদ্ধতি। এ ক্ষেত্রে বিচ্যুতির সুযোগ নেই।”



















