জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থী—চন্দন কুমার দাস (অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগ, ২০২১-২২) ও মিঠুন চন্দ্র রায় (সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ, ২০২৩-২৪)—এবং একজন বাম সমর্থিত ‘মওলানা ভাসানী ব্রিগেড’ প্যানেল থেকে—গৌরব ভৌমিক (সঙ্গীত বিভাগ, ২০১৯-২০)।
স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সনাতন শিক্ষার্থীদের জন্য উপাসনালয় স্থাপন, সকল ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনের সমান সুযোগ নিশ্চিত করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক মানোন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বাম সমর্থিত প্রার্থীও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যকর পরিবেশ, সাশ্রয়ী খাবার, গবেষণা খাতে অর্থ বরাদ্দ ও সনাতনী শিক্ষার্থীদের জন্য মন্দির ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সনাতন ধর্মাবলম্বী ভোটার প্রায় ২ হাজার জন, যা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চন্দন কুমার দাস জানিয়েছেন, মনোনয়ন তোলার পর তিনি সংখ্যালঘু হিসেবে বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন।
চন্দন কুমার দাস নির্বাচিত হলে ক্যাম্পাসে সবার জন্য উপাসনালয়, আবাসন ও পরিবহন সংকট নিরসন, ক্লাসরুম ও গবেষণাগার আধুনিকায়ন, সেশনজট নিরসন এবং নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করছেন। মিঠুন চন্দ্র রায়ও সনাতনী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবেন। গৌরব ভৌমিক বাম রাজনীতির মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের জন্য ন্যায়, সমতা ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছেন।
জকসু নির্বাচনে ২১ পদে ২১১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ছাত্রীহলের ১৩ পদের জন্য ৩৮ জন মনোনয়ন দিয়েছেন। নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ ডিসেম্বর।


























