ঢাকা ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাসার সানশেড ভেঙে পড়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:৪০:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • ৬০৭ বার পড়া হয়েছে

নরসিংদীর চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলি এলাকায় ভূমিকম্পে ধসে পড়া সানশেডের নিচে চাপা পড়ে একই পরিবারের বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে সন্তানদের নিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করার সময় দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল (৩৮) ও তার ছেলে ওমর আলী (১০) প্রাণ হারান। গুরুতর আহত অবস্থায় উজ্জ্বলের দুই মেয়ে—উষা (১৭) ও তবুফা (১৪)—নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

উজ্জ্বল কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌরসভার উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। চাকরির সুবাদে তিনি নরসিংদীর গাবতলিতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। ভূমিকম্পে পাশের নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল থেকে ইট পড়ে তাদের বাড়ির সানশেড ধসে পড়ে। এতে উজ্জ্বল ও তার সন্তানরা চাপা পড়েন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলেও গুরুতর আহত বাবা-ছেলেকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। দুপুরে ওমর মারা যায় এবং সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় উজ্জ্বলও প্রাণ হারান।

স্বজনরা জানান, উজ্জ্বল প্রায় ১০ বছর ধরে নরসিংদীতে চাকরি করছিলেন। চার বছর আগে স্ত্রী-সন্তানকে গ্রাম থেকে নিয়ে এসে একসঙ্গে থাকছিলেন। ঘটনার সময় স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। স্বামী ও সন্তান হারিয়ে তিনি শোকে প্রায় অচেতন হয়ে পড়ছেন বলে জানান স্বজনরা। দুই মেয়েকে এখনো বাবার ও ভাইয়ের মৃত্যুসংবাদ জানানো হয়নি।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আরএমও ফরিদা গুলশানারা কবির বলেন, বাবা-ছেলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হয়। দুই মেয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

এদিকে একই ভূমিকম্পে জেলার আরও তিনজন প্রাণ হারান। পলাশের মালিতা পশ্চিমপাড়ায় মাটির ঘর ধসে মারা যান কাজেম আলী ভূঁইয়া (৭৫)। শিবপুরের আজকীতলা পূর্বপাড়ায় গাছ থেকে পড়ে মারা যান ফোরকান মিয়া (45)। আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কাজীরচর নয়াপাড়ার নাসির উদ্দিন (৬৫) প্রাণ হারান।

জনপ্রিয় সংবাদ

নিজের দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দিলেন এহসানুল হুদা

বাসার সানশেড ভেঙে পড়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু

আপডেট সময় ১০:৪০:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

নরসিংদীর চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলি এলাকায় ভূমিকম্পে ধসে পড়া সানশেডের নিচে চাপা পড়ে একই পরিবারের বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে সন্তানদের নিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করার সময় দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল (৩৮) ও তার ছেলে ওমর আলী (১০) প্রাণ হারান। গুরুতর আহত অবস্থায় উজ্জ্বলের দুই মেয়ে—উষা (১৭) ও তবুফা (১৪)—নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

উজ্জ্বল কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌরসভার উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। চাকরির সুবাদে তিনি নরসিংদীর গাবতলিতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। ভূমিকম্পে পাশের নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল থেকে ইট পড়ে তাদের বাড়ির সানশেড ধসে পড়ে। এতে উজ্জ্বল ও তার সন্তানরা চাপা পড়েন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলেও গুরুতর আহত বাবা-ছেলেকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। দুপুরে ওমর মারা যায় এবং সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় উজ্জ্বলও প্রাণ হারান।

স্বজনরা জানান, উজ্জ্বল প্রায় ১০ বছর ধরে নরসিংদীতে চাকরি করছিলেন। চার বছর আগে স্ত্রী-সন্তানকে গ্রাম থেকে নিয়ে এসে একসঙ্গে থাকছিলেন। ঘটনার সময় স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। স্বামী ও সন্তান হারিয়ে তিনি শোকে প্রায় অচেতন হয়ে পড়ছেন বলে জানান স্বজনরা। দুই মেয়েকে এখনো বাবার ও ভাইয়ের মৃত্যুসংবাদ জানানো হয়নি।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আরএমও ফরিদা গুলশানারা কবির বলেন, বাবা-ছেলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হয়। দুই মেয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

এদিকে একই ভূমিকম্পে জেলার আরও তিনজন প্রাণ হারান। পলাশের মালিতা পশ্চিমপাড়ায় মাটির ঘর ধসে মারা যান কাজেম আলী ভূঁইয়া (৭৫)। শিবপুরের আজকীতলা পূর্বপাড়ায় গাছ থেকে পড়ে মারা যান ফোরকান মিয়া (45)। আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কাজীরচর নয়াপাড়ার নাসির উদ্দিন (৬৫) প্রাণ হারান।