রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসায় শনিবার রাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ওবায়দুল হক। রাত ১২টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, ১৭ নভেম্বর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত রায়ের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে উচ্ছ্বাস দেখা গেলেও আলিয়া মাদ্রাসায় তেমন কোনো আয়োজন হয়নি। মাদ্রাসার কিছু শিক্ষার্থী টিএসসি ও ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গেলেও ভেতরে বড় কোনো কর্মসূচি ছিল না।
অধ্যক্ষ জানান, বিল্পবী ছাত্র পরিষদের এক শিক্ষার্থী রায়ের খুশিতে মিলাদ মাহফিলের আয়োজনের অনুরোধ করলে তিনি ‘ডিস্টার্ব না করার’ শর্তে মৌখিক অনুমতি দেন। তিনি বলেন, মিলাদ মসজিদে হওয়া উচিত হলেও শিক্ষার্থীরা প্রকাশ্যে আয়োজন করতে চাওয়ায় অনুমতি দেওয়া হয়। পরে জানা যায়, তারা মিনি ট্রাক এনে রাস্তা আটকে মাইক বসিয়ে মাহফিল করেছে—যা তিনি নিজ চোখে না দেখলেও ছবি থেকে জানতে পারেন।
মাইক ব্যবহার নিয়ে অন্য শিক্ষার্থীদের অভিযোগে তিনি আয়োজকদের ফোন দিয়ে আয়োজনে সংযত থাকার পরামর্শ দেন। সাংবাদিকরা হলে ছাত্রলীগের উপস্থিতি, সংঘর্ষের কারণ ও চাঁদা তোলার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বলেন, কারা ছাত্রলীগ করে সে বিষয়ে তিনি অবগত নন, এবং কেউ সুনির্দিষ্টভাবে পরিচয়ও দেখাতে পারেনি।
চাঁদা তোলার অভিযোগ বিষয়ে তিনি জানান, বিষয়টি তার জানা নেই; প্রমাণসহ অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সংঘর্ষে হলে ভাঙচুর হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, দু-একটি চেয়ার উল্টে থাকতে দেখেছেন।
সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে অধ্যক্ষ ওবায়দুল হক বলেন, বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখছেন। পাশাপাশি তিনি জানান, পুরো ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং প্রয়োজনীয় গাইডলাইন দেওয়া হবে।


























