ঢাকা ০৬:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অসুস্থ হয়ে মারা গেলে মনকে বোঝাতে পারতাম কিন্তু থানার পাশে কীভাবে মানুষ খুন হয়?

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৩:২৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৪১ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার মাত্র ২০০ গজ দূরে জেলা পরিষদ ভবনের সামনে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন ভ্রাম্যমাণ চা বিক্রেতা মো. ইসমাইল (৩৫)। গত বৃহস্পতিবার রাতে রাতের কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ইসমাইলকে হারিয়ে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে দিশেহারা তাঁর স্ত্রী নাহিদা সুলতানা।

লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা ইসমাইল পরিবার নিয়ে ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। দুই সন্তানের মধ্যে ছেলে তায়িফের বয়স ৯ বছর, মেয়ে তায়িফার বয়স তিন। স্বামী হারিয়ে বাকরুদ্ধ নাহিদা বলেন, “অসুস্থ হয়ে মারা গেলে মনকে বোঝাতে পারতাম। কিন্তু থানার পাশে কীভাবে মানুষ খুন হয়? লাশ দেখে দুই সন্তান বারবার জিজ্ঞেস করছে—বাবা কথা বলছেন না কেন। তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছি না।”

কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুল করিম জানান, ইসমাইল নিয়মিত লালদীঘির পাড় ও পুরোনো গির্জা এলাকায় চা বিক্রি করতেন। সেদিন রাত আড়াইটার দিকে সাইকেলে ফিরিঙ্গিবাজারের দিকে ফেরার পথে তিন ছিনতাইকারী তাঁর পথরোধ করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তারা ইসমাইলকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থলটি জেলা পরিষদ ভবনের বিপরীতে, পুলিশের নতুন সদর দপ্তর নির্মাণাধীন ভবনের পাশেই। তবুও এমন ঘটনা ঘটায় স্থানীয়দের মধ্যেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। জড়িতদের শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে, তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

নিহতের ছোট ভাই সুজন বলেন, “ভাইয়ের পরিবার কীভাবে চলবে জানি না। কে দায়িত্ব নেবে? আমরা জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
ময়নাতদন্ত শেষে লাশ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

অসুস্থ হয়ে মারা গেলে মনকে বোঝাতে পারতাম কিন্তু থানার পাশে কীভাবে মানুষ খুন হয়?

আপডেট সময় ০৩:২৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার মাত্র ২০০ গজ দূরে জেলা পরিষদ ভবনের সামনে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন ভ্রাম্যমাণ চা বিক্রেতা মো. ইসমাইল (৩৫)। গত বৃহস্পতিবার রাতে রাতের কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ইসমাইলকে হারিয়ে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে দিশেহারা তাঁর স্ত্রী নাহিদা সুলতানা।

লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা ইসমাইল পরিবার নিয়ে ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। দুই সন্তানের মধ্যে ছেলে তায়িফের বয়স ৯ বছর, মেয়ে তায়িফার বয়স তিন। স্বামী হারিয়ে বাকরুদ্ধ নাহিদা বলেন, “অসুস্থ হয়ে মারা গেলে মনকে বোঝাতে পারতাম। কিন্তু থানার পাশে কীভাবে মানুষ খুন হয়? লাশ দেখে দুই সন্তান বারবার জিজ্ঞেস করছে—বাবা কথা বলছেন না কেন। তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছি না।”

কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুল করিম জানান, ইসমাইল নিয়মিত লালদীঘির পাড় ও পুরোনো গির্জা এলাকায় চা বিক্রি করতেন। সেদিন রাত আড়াইটার দিকে সাইকেলে ফিরিঙ্গিবাজারের দিকে ফেরার পথে তিন ছিনতাইকারী তাঁর পথরোধ করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তারা ইসমাইলকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থলটি জেলা পরিষদ ভবনের বিপরীতে, পুলিশের নতুন সদর দপ্তর নির্মাণাধীন ভবনের পাশেই। তবুও এমন ঘটনা ঘটায় স্থানীয়দের মধ্যেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। জড়িতদের শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে, তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

নিহতের ছোট ভাই সুজন বলেন, “ভাইয়ের পরিবার কীভাবে চলবে জানি না। কে দায়িত্ব নেবে? আমরা জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
ময়নাতদন্ত শেষে লাশ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।