ভারতের অরুণাচল প্রদেশের নাহারলাগুন এলাকায় একটি মসজিদে ঢুকে ইমামকে জোর করে ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলানোর অভিযোগে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় ব্যাপক নিন্দার ঝড় ওঠেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, অরুণাচল প্রাদেশিক আদিবাসী যুব সমিতি (এপিআইওয়াইও)-এর সাধারণ সম্পাদক তাপর মেয়িং ও সভাপতি তারো সোনম মসজিদের ভেতরে দাঁড়িয়ে ইমামের সঙ্গে তীব্র বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। আশপাশে বড়সংখ্যক মানুষ জড়ো থাকায় পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় বারবার ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দেওয়া হয়।
ইমাম স্পষ্টভাবে জানান, তিনি এই স্লোগান বলবেন না; তবে ‘ইন্ডিয়া জিন্দাবাদ’ বলতে পারেন। কিন্তু এপিআইওয়াইও নেতারা ক্ষুব্ধ হন। ভুক্তভোগী ইমাম নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন। বিতর্ক চরমে ওঠার সময় এপিআইওয়াইও সভাপতি তারো সোনম বলেন, “প্রত্যেক মুসলিম সন্ত্রাসী নয়, তবে প্রতিটি সন্ত্রাসী কেন মুসলিম?”—যা উপস্থিত জনতার মধ্যে আরও উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
ইমামের বক্তব্য, “ইন্ডিয়া জিন্দাবাদ যথেষ্ট। ‘ভারত মাতা কি জয়’ আমি বলব না। তবে হিন্দুস্তান কি জয় বা ইন্ডিয়া কি জয় বলতে কোনো আপত্তি নেই, কারণ একজন ব্যক্তির জন্মদাত্রীই একমাত্র ‘মা’।”
গত এক মাস ধরে এপিআইওয়াইও অবৈধ অভিবাসন রোধে প্রচার চালাচ্ছে। ২৫ নভেম্বর নাহারলাগুন হেলিপ্যাডের কাছে একটি মসজিদের ‘অবৈধ নির্মাণ’-এর অভিযোগে বন্ধ ঘোষণা করলেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসের পর তা প্রত্যাহার করা হয়।
মতবিনিময়ের সময় সংগঠনের নেতারা ইমামের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাদের দাবি—ইমাম সম্ভবত “অভিবাসী” এবং তিনি বাংলাদেশি মুসলিম হতে পারেন। অভিযোগ করা হয়, ১৮৭৩ সালের বেঙ্গল ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রেগুলেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ‘ইনার লাইন পারমিট’ ছাড়া তিনি অরুণাচলে প্রবেশ করেছেন।
ভিডিও ভাইরাল হলেও অরুণাচল পুলিশ এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তদন্ত শুরু হবে কি না, তা নিয়েও নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি।


























