ঢাকা ১২:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধ্বংসস্তূপের মাঝেও জীবনের জয়গান: গাজার খান ইউনিসে ৫৪ যুগলের গণবিয়ে

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:০২:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫৩২ বার পড়া হয়েছে

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ধ্বংসস্তূপের মধ্যেও জীবনকে উদযাপন করার বিরল দৃশ্য তৈরি হয়েছে মঙ্গলবার। দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে ৫৪ যুগল দাম্পত্যের বন্ধনে আবদ্ধ হন এক অভিনব গণবিয়ে অনুষ্ঠানে। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ও মানবিক সংকটের ভেতরেও নতুন জীবনের স্বপ্ন বুকে ধারণ করে হাসিমুখে মঞ্চে ওঠেন নবদম্পতিরা।

কনেরা পরেছিলেন ফিলিস্তিনের ঐতিহ্যবাহী সাদা-লাল নকশার পোশাক, আর বররা ছিলেন কালো স্যুট আর টাইয়ে সজ্জিত। লাল কার্পেট বিছানো ধ্বংসস্তূপের পথে বাদ্যযন্ত্রের তালে তাল মিলিয়ে যুগলরা উঠছিলেন মঞ্চে। কনেদের হাতে ছিল ফুলের তোড়া, আর বরদের হাতে ফিলিস্তিনের ছোট পতাকা—যেন আশার প্রতীক হয়ে।

মানুষের ভিড় ছিল উপচে পড়া। কেউ কার্পেটের দু’পাশে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান দেখছিল, কেউবা ঝুঁকি নিয়েই পাশে থাকা ভাঙা ভবনের ওপর উঠে উপভোগ করেছে দৃশ্য। যুদ্ধের বেদনার মধ্যে এ আয়োজন যেন মুহূর্তের জন্য হলেও ফিরিয়ে এনেছে স্বস্তি, হাসি আর মানবিকতার বিশ্বাস।

বর মুসায়েদ বলেন, “আমাদের এমন এক আনন্দের মুহূর্তের প্রয়োজন ছিল— যা আমাদের হৃদয়ে আবার প্রাণ ফেরাতে পারে।”

দুই বছরের ভয়াবহ যুদ্ধ, অনাহার আর সংকটের পর নবদম্পতিরা আশা করছেন— এবার শান্তি স্থায়ী হবে, তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন।

গণবিয়ের আয়োজন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক আল-ফারিস আল-শাহিম ফাউন্ডেশন। উৎস: এএফপি

জনপ্রিয় সংবাদ

হাদিকে আগেই সতর্ক করেছিলেন সাবেক ‘র‍্যাব সদস্য’

ধ্বংসস্তূপের মাঝেও জীবনের জয়গান: গাজার খান ইউনিসে ৫৪ যুগলের গণবিয়ে

আপডেট সময় ০৮:০২:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ধ্বংসস্তূপের মধ্যেও জীবনকে উদযাপন করার বিরল দৃশ্য তৈরি হয়েছে মঙ্গলবার। দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে ৫৪ যুগল দাম্পত্যের বন্ধনে আবদ্ধ হন এক অভিনব গণবিয়ে অনুষ্ঠানে। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ও মানবিক সংকটের ভেতরেও নতুন জীবনের স্বপ্ন বুকে ধারণ করে হাসিমুখে মঞ্চে ওঠেন নবদম্পতিরা।

কনেরা পরেছিলেন ফিলিস্তিনের ঐতিহ্যবাহী সাদা-লাল নকশার পোশাক, আর বররা ছিলেন কালো স্যুট আর টাইয়ে সজ্জিত। লাল কার্পেট বিছানো ধ্বংসস্তূপের পথে বাদ্যযন্ত্রের তালে তাল মিলিয়ে যুগলরা উঠছিলেন মঞ্চে। কনেদের হাতে ছিল ফুলের তোড়া, আর বরদের হাতে ফিলিস্তিনের ছোট পতাকা—যেন আশার প্রতীক হয়ে।

মানুষের ভিড় ছিল উপচে পড়া। কেউ কার্পেটের দু’পাশে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান দেখছিল, কেউবা ঝুঁকি নিয়েই পাশে থাকা ভাঙা ভবনের ওপর উঠে উপভোগ করেছে দৃশ্য। যুদ্ধের বেদনার মধ্যে এ আয়োজন যেন মুহূর্তের জন্য হলেও ফিরিয়ে এনেছে স্বস্তি, হাসি আর মানবিকতার বিশ্বাস।

বর মুসায়েদ বলেন, “আমাদের এমন এক আনন্দের মুহূর্তের প্রয়োজন ছিল— যা আমাদের হৃদয়ে আবার প্রাণ ফেরাতে পারে।”

দুই বছরের ভয়াবহ যুদ্ধ, অনাহার আর সংকটের পর নবদম্পতিরা আশা করছেন— এবার শান্তি স্থায়ী হবে, তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন।

গণবিয়ের আয়োজন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক আল-ফারিস আল-শাহিম ফাউন্ডেশন। উৎস: এএফপি