ঢাকা ১২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুর্শিদাবাদে আজ বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৫৬:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫৩৪ বার পড়া হয়েছে

ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ৩৩ বছর পর পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙায় একই নামে নতুন মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে যাচ্ছেন তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। শনিবার দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ উদ্যোগকে কেন্দ্র করে যাতে কোনোভাবেই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে প্রশাসন ইতোমধ্যে বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে।

রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতকে জানিয়েছেন, সম্ভাব্য অশান্তি রোধে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অন্যদিকে ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল রাজদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, সিআইএসএফের ১৯টি কোম্পানি এলাকায় অবস্থান করছে। র‌্যাফসহ মোট ৩৫০০ সদস্য নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করছে, আর ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক সুরক্ষায় বিএসএফের দুটি কোম্পানি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

ডিভিশন বেঞ্চের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি পার্থ সারথি সেন নির্দেশ দিয়েছেন—মুর্শিদাবাদে আইনশৃঙ্খলা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং নাগরিকদের জীবন-সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে হুমায়ুন কবীর জানান, দুপুর ১২টায় দুই ঘণ্টার কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হবে। কোনো বক্তব্য, দলীয় প্রতীক বা রাজনৈতিক উপস্থিতি থাকবে না। তিন বছরের মধ্যে মসজিদের নির্মাণ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে, যার অর্থায়ন দেবেন স্থানীয় মুসলমানরা।

এ ঘটনাকে নির্বাচনপূর্ব ‘ষড়যন্ত্র’ বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। অন্যদিকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বসু শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে রাজভবনে ‘অ্যাক্সেস পয়েন্ট সেল’ গঠন করেছেন—অশান্তি দেখা দিলে তা পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস কর্মকর্তা এসকে পট্টনায়েক।

উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালের এই দিনেই অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়। আর মাত্র আট মাস আগেই ওয়াক্‌ফ (সংশোধনী) আইনের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদ জুড়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল—তাই এবারের অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশাসনের অতিরিক্ত সতর্কতা দেখা যাচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

হাদিকে আগেই সতর্ক করেছিলেন সাবেক ‘র‍্যাব সদস্য’

মুর্শিদাবাদে আজ বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

আপডেট সময় ০৯:৫৬:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ৩৩ বছর পর পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙায় একই নামে নতুন মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে যাচ্ছেন তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। শনিবার দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ উদ্যোগকে কেন্দ্র করে যাতে কোনোভাবেই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে প্রশাসন ইতোমধ্যে বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে।

রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতকে জানিয়েছেন, সম্ভাব্য অশান্তি রোধে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অন্যদিকে ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল রাজদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, সিআইএসএফের ১৯টি কোম্পানি এলাকায় অবস্থান করছে। র‌্যাফসহ মোট ৩৫০০ সদস্য নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করছে, আর ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক সুরক্ষায় বিএসএফের দুটি কোম্পানি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

ডিভিশন বেঞ্চের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি পার্থ সারথি সেন নির্দেশ দিয়েছেন—মুর্শিদাবাদে আইনশৃঙ্খলা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং নাগরিকদের জীবন-সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে হুমায়ুন কবীর জানান, দুপুর ১২টায় দুই ঘণ্টার কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হবে। কোনো বক্তব্য, দলীয় প্রতীক বা রাজনৈতিক উপস্থিতি থাকবে না। তিন বছরের মধ্যে মসজিদের নির্মাণ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে, যার অর্থায়ন দেবেন স্থানীয় মুসলমানরা।

এ ঘটনাকে নির্বাচনপূর্ব ‘ষড়যন্ত্র’ বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। অন্যদিকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বসু শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে রাজভবনে ‘অ্যাক্সেস পয়েন্ট সেল’ গঠন করেছেন—অশান্তি দেখা দিলে তা পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস কর্মকর্তা এসকে পট্টনায়েক।

উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালের এই দিনেই অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়। আর মাত্র আট মাস আগেই ওয়াক্‌ফ (সংশোধনী) আইনের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদ জুড়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল—তাই এবারের অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশাসনের অতিরিক্ত সতর্কতা দেখা যাচ্ছে।